ဖဲ့.် به نبذة تنته ۔ منتخمینہ: :* **
- ৪২ - আর্য্যাবর্ত্ত
" ... " ቶ.‛• • • • ̈ . . ." - "r =هه"* r 啤 - . ". . . অনন্তয় বেঙ্গল গভৰ্মেণ্ট কৃষি-বিজ্ঞান শিক্ষা দিবার জন্য শিবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সহিত একটি কৃষি বিদ্যালয় স্থাপিত করিলেন। নিয়ম করিলেন, সকলকেই বি, এ, পাশ করিয়া এই কলেজে প্রবেশ করিতে হইবে ; তবে যে সকল ছাত্রের নিজের ভূসম্পত্তি আছে অথবা যাহারা ভূস্বামী কর্তৃক उंथांव्र প্রেরিত হইবে, তাহারা বি, এ, পাস না করিলেও শিক্ষা লাভ করিতে পরিবে। কিন্তু এই কলেজের শিক্ষনীয় বিষয় এবং পাঠ্য পুস্তক সকল এতাদৃশ কঠিন ছিল যে, বি, এ, পাস করিয়া না গেলে ছাত্রগণ পাঠ্য বুঝিয়া উঠতে পারিত না। তদ্ভিন্ন এই বিদ্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের পারদর্শীকৃতি ছাত্র লাভ করিবার আশায়, গভৰ্মেণ্ট একটি প্রলোভন দেখাইলেন ; নিয়ম করিলেন, এই কলেজ হইতে যাহারা প্রথম ও দ্বিতীয় স্থান অধিকার কারিয়া উত্তীর্ণ হইবে, তাহারা ডেপুটি ও সাবডেপুটির পদ প্রাপ্ত হইবে। ডেপুটিগিরি বাঙ্গালীর জীবনের চরম লক্ষ্য বলিয়া, অনেক ছাত্র কলেজে শিক্ষা-লাভ করিতে লাগিল, যাহারা উচ্চস্থান অধিকার করিতে পারিল, তাহারা ডেপুটি হইল, যাহারা ধ্ৰুৱা পারিল তাহারা ভগ্নীমনোরথ হইয়া কৃষিবিভাগে সীমান্য চাকরী লইয়া জীবন কাটাইতে লাগিল। আর যাহারা বি, এ, পাস না করিয়া গিয়াছিল, তাহদের মধ্যে অধিকাংশই উত্তীর্ণ হইতে না পারিয়া কেবল কয়েক বৎসর বৃথা সময় নষ্ট করিয়া কলেজ পরিত্যাগ করিতে লাগিল। এই ভাবে ১০ বৎসর শিবপুরের কৃষিকলেজ প্রতিষ্ঠিত ছিল। যাহারা তথা হইতে উত্তীর্ণ হইয়া বাহির হইল, তাহদের মধ্যে একজনও কৃষিকার্য্যে মনোনিবেশ করিল না, সকলেই চাকরী করিতে লাগিল। এই সকল দেখিয়া শুনিয়া গভৰ্মেন্টের চক্ষু ফুটিল, এই কলেজ হইতে কৃষি কার্য্যের কোনরূপ উন্নতি হইতেছে না দেখিয়া ভঁাহার কলেজ উঠাইয়া দিলেন। • তাহার সম্প্রতি শীঘ্রই ভাগলপুরের সন্নিকটে সাবেীরে এক বৃহৎ প্রাদেশিক কৃষিকলেজ খুলিয়াছে। যদিও এই কলেজের শিক্ষনীয় বিষয়ের গুরুত্ব শিবপুর কলেজ অপেক্ষা অনেকাংশে কম করিয়া দেওয়া হইয়াছে, তথাপি টু সাধারণ শিক্ষা প্রাপ্ত লোকে যে তথা হইতে কোন কিছু শিক্ষা করিতে পরিবে না, সে বিষয়ে সন্দেহ নাই। বিলাত হইতে আগত বড় বড় কৃষিতত্ত্ববিদ বিশেষজ্ঞ শিক্ষকের উপর এই কলেজের শিক্ষার ভার অর্পিত হইয়াছে। হইতে পায়ে, তাহারা বিলাতের কৃষিকার্য সম্যক্রূপে অবগত আছেন, কিন্তু বিলাভের কৃষিকার্ধের সহিত আমাদের দেশের কৃষিকার্য্যের আকাশ-পাতাল
