পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কৃষ্ণকুমারী। So করিবার জন্য তরবারি হস্তে র্তাহার শয়নগৃহে প্রবেশ করিলেন। কিন্তু নিদ্রিত কৃষ্ণার সরল ও সুন্দর মুখের দিকে চাহিয়া তাহার প্রাণ গালিয়া গেল, হাতের তরবারি খসিয়া পড়িল ; তিনি কঁাদিয়া ফিরিয়া আসিলেন। ( 8 ) • ক্রমে গুপ্ত মন্ত্রণা প্রকাশ হইল। এই ষড়যন্ত্রের কথা অন্তঃপুরে পৌছিল। শোকে দুঃখে ও ক্রোধে অধীর হইয়া কৃষ্ণকুমারীর মাতা অর্ত্তনাদ করিতে লাগিলেন। অন্যান্য পুরনারীরা কেহ মহিষীকে ধরিয়া, কেহ কৃষ্ণাকে ধরিয়া, রোদন করিতে লাগিলেন। কিন্তু কৃষ্ণকুমারী নিজে একটুও বিচলিত হইলেন না। সকলের এত কান্না দেখিয়া, তাহার হাসি পাইল । হাসিয়া, তাকুর পর ঘূণা, বিরক্তি এবং তেজোব্যঞ্জক স্বরে তিনি পুরনারীদিগকে কহিলেন,-“ছি, তোমরা কি রাজপুতের মেয়ে নাও ? দেশরক্ষার জন্য একটা ছার মেয়েকে মরিতে হইবে, এর জন্য এত কান্না ? রাজপুত্তের আজ সে শক্তি সে গৌরব নাই সত্য, কিন্তু তাই বলিয়াই কি রাজপুত এমনই হীন হইয়াছে যে, একটা রাজপুতের মেয়ে দেশের জন্য হাসিতে হাসিতে মরিতে পরিবে না, আর, আর সকলে হাসিতে হাসিতে সে মরণ দেখিতে পরিবে না ? আজ যদি কোন বিধর্ম্মী শত্রু উদয়পুর জয় করিত, আমাদের সকলকেই যে এখনই আগুনে পুড়িয়া মরিতে হইত।