পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> O আর্য্য-নারী { সে মরণের কাছে আমার একার এ মরণ ত কিছুই নয়। fr ছি ছি, তোমরা আর কঁাদিও না, তোমাদের কান্না দেখিয়া, তোমাদের উপর, আমার মনে সহস্ৰ ধিক্কার উঠিতেছে। রাজপুতের আজ এই দুর্বলতার দিনে, হীনতার দীনে, রাজপুতের মেয়ে তোমরা অন্ততঃ একটু বল-একটু মহত্ত্ব দেখাও। আজ মিবারের সম্মান রাখিতে মিবারের একটি বীর বন্দ্রি না। মরিতে পারিল, রাণা বংশের কন্যা আমাকে অন্ততঃ হাসিমুখে মরিয়া মিবারের মান রাখিতে দাও ; হাসিমুখে আমার সে সাধের মরণ দেখিয়া তোমরা অন্ততঃ মিবারের মান রাখা।” পুরনারীরা লজ্জিত হইয়া চুপ করিলেন। তখন কৃষ্ণকুমারী মাতার নিকট গিয়া ভঁাহাকে সান্থনা করিয়া কহিলেন,-“মা, তুমি উচ্চবংশে জন্মিয়াছ। বীরশ্রেষ্ঠ রাণা বংশের বধু হইয়াৰ উদয়পুরে আসিয়াছ। আমিও সেই রাণবংশে তোমার গর্ভে জন্মিয়াছি। দেশ রক্ষার জন্য যে মরণ, সে মরণে জীবন ধূন্য হয়, জীবনের সকল আকাঙক্ষা বিসৰ্জন দিয়াও প্রথম বয়সেও যে মরণ কঁাচ ফেলিয়া কৌস্তুভ মণির মত মাথায় তুলিয়া নিতে ইচ্ছা হয়, সেই মরণে কি আমি ভয় পাইব,• না, কাতর হইব ? মেয়ের এমন মরণে, মা তুমিও কি কাতর হইবে ? অসার ক্ষণস্থায়ী জীবন দিয়া কে না দেশ রক্ষা করিতে চায় ? জীবনে ছার বিষয়ভোগের আশা ও আকাঙক্ষা বিসর্জন দিয়া, অক্ষয় স্বৰ্গ ও অনন্তকীর্ত্তি কে না লাভ করিতে চায় ? এ মরণে আজ আমার দুঃখের বা দুর্ভাগ্যের কিছুই নাই,-এ যে, পরম সুখ, পরম