পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/১৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bo च्षां-नांद्रौ । চেষ্টার ত্রুটি করিতেন না। সুতরাং একদিকে বিজাপুরের সুলতানও যেমন দিল্লীর সম্রাটকে সহজে অসন্তুষ্ট করিতে চাহিবেন না, অপরদিকে দিল্লীর সম্রাটও যে, কোন বিষয়ে বিজাপুরের পক্ষ অবলম্বন করিবেন। এরূপ সস্তাবনা ছিল না। চতুর রাজনৈতিক শিবাজি ইহা বেশ বুঝিতে পারিয়াছিলেন। তিনি সাহজাহানকে অতি বিনীত ভাবে এক পত্র লিখিলেন । সাহিজি এক সময় সম্রাটের সেনাপতি ছিলেন, এবং সম্রাটও তঁাহাকে স্নেহ করিতেন, এই সব কথা বলিয়া এবং নিজেও যে, সম্রাটের নিতান্ত অনুগত এইরূপ বুঝাইয়া তিনি পিতার মুক্তির আদেশ প্রার্থনা করিলেন । উদারচেতা সাহজাহান শিবাজির পত্রে যার-পর-নাই সন্তুষ্ট হইয়া সাহিজিকে মুক্তি দিবার জন্য বিজাপুরের সুলতানকে আদেশ করিলেন। সুলতান এ আদেশ লঙ্ঘন করিতে সাহসী হইলেন না। সাহিজি কারামুক্ত হইয়া আবার নিজপদে প্রতিষ্ঠিত হইলেন। বাকী জীবন সাহজি বিজাপুরের সুলতানের অধীনে কর্ণাট প্রদেশের সেনাপতি ও শাসন কর্ত্তার কার্য্যেই নিযুক্ত ছিলেন। পুত্রের রাজ্য-বিস্তারে আপনি স্বার্থের জন্য তিনি কোনরূপ হস্তক্ষেপ করেন নাই । সুলতানও সাহিজির উপর আর কোন উৎপীড়নের চেষ্টা করেন নাই। কারণ, তিনি অনেক দৃষ্টান্তে বুঝিয়াছিলেন যে, শিবাজির সঙ্গে তাহার এইরূপ বিরোধ সত্ত্বেও সাহজি অতি বিশ্বস্ততার সঙ্গে তাহার কার্য্য করিতেছেন । সাহজির বিশ্বস্ততা, বীরত্ব ও দক্ষ সেনাপতিত্বের গুণেই কর্ণাট