পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

总》8 আর্য্য-নারী । রঘুনাথ চিন্তা করিলেন-মালহরীরাও কিম্বা তঁহার পুত্র এখন জীবিত নাই। অহল্যা রমণী । এই সুযোগে সহজেই রঘুনাথ ইন্দোর অধিকার করিতে পারিবেন। এবং তঁহারি নিয়োজিত ইন্দোররাজ চিরদিন রঘুনাথের অনুগত ও বাধ্য থাকিবেন। এ সুযোগ পরিত্যাগ করা যায় না। উৎসাহিত মনে রঘুনাথ গঙ্গাধর যশোবান্তের প্রস্তাবে সম্মত হইলেন। রঘুনাথ সসৈন্যে ইন্দোরের দিকে চলিলেন। তঁহাকে বাধা দিবার শক্তি র্তাহার অল্পবয়স্ক ভ্রাতুষ্পপুত্র পেশোয়ার ছিল না। তিনি এ কার্য্যে সম্মতি দিলেন না এবং পিতৃব্যকে জানাইলেন যে, তাহার এ কার্য্যের কোন দায়িত্ব তিনি গ্রহণ করিবেন না । অহল্যা এই ষড়যন্ত্রের সংবাদ পাইলেন । তেজস্বিনী রাণী তখনি প্রধান কর্ম্মচারীদিগকে ডাকিয়া কহিলেন “এ রাজ্য আমার শ্বশুর আপনার শক্তিবলে’ লাভ করিয়াছেন, শক্তিবলে রক্ষা করিয়াছেন। তঁহার তোষামোদে ভুলিয়া কি তঁাহাকে অনুগ্রহ করিয়া পেশোয়া এ রাজ্য তঁহাকে দৈন নাই। আমার শ্বশুর পেশোয়াকে প্রভু বলিয়া মানিতেন, আমিও মানিতে প্রস্তুত আছি। কিন্তু তাই বলিয়া এ রাজ্য আমার হাত হইতে কাড়িয়া লইবার অধিকার পেশোয়ার নাই । আমি দুর্বল রমণী বলিয়া আমার কৃতজ্ঞ কর্ম্মচারীর সহায়তায় রঘুনাথরাও অন্যায় রূপে আমার রাজ্য কাড়িয়া নিতে আসিয়াছেন। কিন্তু তঁাহারা যেন মনে রাখেন, আমি সামান্য রমণী নাহি। মলহরীরাও এর পুত্রবধু, ইন্দোরের রাণী। আপন