পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাণী ভবানী । & শাসন করিতেন। নবাবসরকারে রীতিমত প্রাপ্য কর বুঝাইয়া দিতে পারিলে, ইহাদের জমিদারী ও জমিদারীর প্রজা শাসনে নবাবগণ কোনরূপ হস্তক্ষেপ বড় করিতেন না । জমিদার ও প্রজার মধ্যে পরস্পর রাজা প্রজা সম্বন্ধ ছিল । রাজার মত অনেক জমিদারের সিপাহী পর্য্যন্ত থাকিত । রাজার মত ইহারা প্রজাদের শাসন, বিচার ও দণ্ডবিধান করিতেন । ইহাদের “রাজা” নাম ছিল ; প্রজারাও রাজার মতই ইহাদিগকে মানিত । মোটের উপর নবাবদের সঙ্গে বাদাসাহের যেরূপ সম্বন্ধ ছিল, জমিদারের সঙ্গে নবাবেরও প্রায় সেইরূপ সম্বন্ধ ছিল । হাতে এত শক্তি ছিল বলিয়াই কোন কোন জমিদার-রাজা গড় নির্ম্মাণ করিয়া এবং বহু সৈন্য সংগ্রহ করিয়া কখনো কখনো একেবারে স্বাধীন হইবার চেষ্টা পর্য্যন্ত করিয়াছেন । পাঠান রাজত্বকালে দিনাজপুরের রাজা গণেশ এইবার বাঙ্গালার সিংহাসন পর্য্যন্ত অধিকার করিয়া মুশলমান রাজত্বের মধ্যে বাঙ্গালায় কিছুকালের জন্য আবার হিন্দুরাজত্বের প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু পুত্র যদু আবার মুসলমানধর্ম্ম ও মুশলমানী নাম গ্রহণ করিয়া দুই পুরুষের মধ্যেই সেই হিন্দু রাজত্বের শেষ করেন। আকবরের সময়, মানসিংহের শাসনকালে, প্রতাপাদিত্য যশোহরে স্বাধীন হিন্দু রাজত্ব স্থাপন করেন। কিন্তু মানসিংহ তঁহাকে পরাজিত করিয়া তাহার রাজ্য মোগলের অধিকারে আনেন । সপ্তদশ শতাব্দীর শেষ ভাগে নবাব ইব্রাহিম খার সময়ে বৰ্দ্ধমান • অঞ্চলের একজন সামান্য তালুকদার শোভাসিংহ