পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ryr 8 আর্য্য-নারী । প্রতিষ্ঠাতা। জমিদারী কার্য্যে দয়ারামের উপদেশের উপর নির্ভর করিতেই রামজীবন রামকান্তকে উপদেশ দিয়া যান। কিন্তু রামকান্ত জমিদার হইয়া দয়ারামকে বড় গ্রাহ করিতেন না। প্রথম যৌবনের চপলতা বশতঃ জমিদারী-কার্য্যে অমনোযোগী হওয়ায় দয়ারাম একদিন রামকান্তকে কিছু অনুযোগ করেন। রামকান্ত ইহাতে দয়ারামকে অপমান করিয়া বাটীর বাহির করিয়া দেন । রামজীবনের সময় হইতেই দয়ারাম এ ংসারে অনেক কর্তৃত্ব করিয়া আসিতেছিলেন। স্বয়ং রামজীবন ও রঘুনন্দন তঁহাকে অনেক খাতির করিতেন। আজ যুবক রামকান্ত তাহাকে এত অপমান করিল,-দয়ারাম ইহাতে বড় চটিলেন । তরলমতি রামকান্তকে উচিত শিক্ষা দিবার জন্য তিনি মুৱসিন্দাবাদে নবাবসরকারে গেলেন। এই সময় আলিবদি খা বাঙ্গালার নবাব ছিলেন। ইনি পুর্ব হইতেই দয়ারামকে জানিতেন। রাজা সীতারামের সঙ্গে যুদ্ধের সময় দয়ারামের বুদ্ধি-কৌশলেই সীতারামের প্রসিদ্ধ সেনাপতি মহাবীর মেনাহাতী নিহত হন। সুতরাং নবাব দরবারেও, দয়ারামের যথেষ্ট প্রতিপত্তি ছিল । এই সময়ে নবাবসরকারে রামকান্তের অনেক খাজানা বাকী পড়িয়াছিল। দয়ারাম একদিন নবাবকে কহিলেন, রামকান্তের গৃহে বহু অর্থ সঞ্চিত আছে ; ইচ্ছা পূর্বক তিনি নবাবের খাজানা দিতেছেন না । এদিকে তিনি রাজার স্থায় আড়ম্বরে বহু ধ্যয় করিতেছেন।