পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৩১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्राधै एछरानौ । VOe ) “লোকে আমার মন্দিরের বাহির দেখিয়াই ভুলিয়া যায়, ভিতরে আসিয়া আমায় দেখিতে কেহ বড় তিষ্ঠে না। তুমি আমার মন্দিরের ভিতর সুন্দর করিয়া দাও।” রাণী ভবানী মন্দির সংস্কার করিয়া ভিতর এমন সুন্দর করিয়া সাজাইলেন যে, মন্দিরের বাহিরের সৌন্দর্য্য একেবারে ডুবিয়া গেল। লোকে ভিতরে থাকিতে পারিলে আর বাহির দেখিতে যাইতে চাহিত না । ভবানীপুরের তীর্থে যাইবার জন্য তিনি নাটোর হইতে ভবানীপুর পর্য্যন্ত একটি সুপ্রসর রাস্তা নির্ম্মাণ করান। এই পথটি প্রায় পঞ্চাশ মাইল দীর্ঘ। সারা পথের মধ্যে মধ্যে পান্থনিবাস নির্ম্মিত হইল। এই সব পান্থনিবাসে পথিকদিগের আহার ও বিশ্রামের জন্য সর্বদা সকল প্রকার আয়োজন থাকিত। " এই রাস্তাকে লোকে “ভবানীজাঙ্গাল’ বলে । রাণী ভবানী এক-দুৰ্গোৎসবের সময় দানধর্ম্মে যাহা ব্যয় করিতেন, তাহ শুনিলে অবাক হইতে হয়। প্রতিবৎসরে দুই হাজার কুমারী ও সধবাকে পাটের সাড়ী, শাখা ও সোণার নথ দেওয়া হইত। “প্রতিপদ হইতে নবমী পর্য্যন্ত প্রত্যহ একশত কুমারীকে সোণার অলঙ্কার দিয়া তিনি পূজা করিতেন"। ব্রাহ্মণ পণ্ডিতগণকে ৫০,০০০ টাকা দান করিতেন। ইহা ছাড়া হাজার হাজার দীনদুঃখী ও কাঙ্গালীকে ভোজনে ও দানে পরিতৃপ্ত করিতেন। সকল দীনদুঃখী সর্বদা তাহার নিকট যাইতে পারিত না,