পাতা:আর্য্য-নারী দ্বিতীয় ভাগ.djvu/৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓቅ.. আর্য্য-নারী । আমরা চলিলাম। ওই যুদ্ধকোলাহল শুনিতেছি। এখনো বৃথা কেন সময় নষ্ট করিতেছ? যাও, যুদ্ধ করা। যদি শত্রুজয় করিয়া দেশ রক্ষা করিতে না পার, প্রাণ লইয়া গৃহে ফিরিও না। ছার দেহ যুদ্ধক্ষেত্রে ফেলিয়া স্বৰ্গে আমাদের সঙ্গে মিলিত হাইও । আমরা সেখানে তোমার অপেক্ষা করিব।” কথা শেষ হইতে না হইতেই কর্ম্মদেবীর আত্মা দেহমুক্ত হইল। “হর হর” শব্দে চতুর্দিক গৰ্জিত করিয়া পুত্ত ছুটয়া যুদ্ধের মধ্যে প্রবেশ করিলেন। মোগল সৈন্য ধবংস করিতে করিতে তিনিও অবিলম্বে মাতা ভগিনী ও স্ত্রীর অনুগামী হইলেন। চিতোর ধবংস হইল। আকবর চিতোর অধিকার করিলেন। উদয়সিংহ আরাবল্লী পর্ব্বতে আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। সেখানে উদয়পুর নামে নূতন রাজধানী স্থাপন করিয়া পার্বত্য প্রদেশে তিনি রাজত্ব করিতে লাগিলেন । কথিত আছে, এই যুদ্ধে এত রাজপুতবীর হত হন, যে, তঁহাদের পৈতা ওজন করিয়া ৭৪৷ মণ হয়। (তখন রাজপুতনায় ৪ সেরে এক মণ হইত। ) অনেকে পত্রের শিরোনামার অপর পৃষ্ঠে ৭৪৷ অঙ্কটি লিখিয়া থাকেন। ঐ রূপ অঙ্ক থাকিলে, পত্রের অধিকারী ভিন্ন অন্য কেহ সেই পত্র খুলিলে, চিতোরধ্বংসের এবং এতগুলি রাজপুতবীরের প্রাণনাশের পাপভাগী তিনি হইবেন, এইরূপ লোকের সংস্কার আছে। এই ঘটনার পর হইতেই এই নিয়ম ও সংস্কার প্রচারিত হয়।