নদী -দয়াময়! এ কি আজ্ঞা করচেন ? আপনি আর তিনি কি ভিন্ন ? কাৱ জন্য আমি কার কাছে আদেশ আনতে যাব ? আপনার লীলা আপনি বুঝেন আমি বুঝি না । বুঝি কেবল হর হরি ভিন্ন ন’ন । চলুন, দাস পশ্চাৎ অনুগমন করাচে । 誓 (তিন জনের শিখরে আরোহণ ৷ ) (হরি হরের পরস্পর নমস্কার প্রতি নমস্কার ) মহাদেব।-নারায়ণ! আজি নরনারায়ণ যুগলমূর্ত্তি দর্শন লাভ হলো । শ্রীকৃষ্ণ -যোগীশ্বরের মূর্ত্তি দর্শনে আমিও ধন্য হলেম, মহেশ্বর ! আজ বড় বিপদাপন্ন হয়েই আপনার শরণাপন্ন হয়েছি । মহাদেব। —মনের অভিলাষ ব্যক্তি করুন' শ্রীকৃষ্ণ। —মহেশ্বর ! আমার সখী জয়দ্রথবধের জন্য প্রতিজ্ঞা করেচেন। কিন্তু পাশুপত ব্যতীত অন্য অস্ত্রে জয়দ্রথ বধ হবে না, অতএব প্রার্থনা, সেই অস্ত্র অৰ্জ্জুনকে প্রয়োগ সংহার মন্ত্রের সহিত দান করুন । মহাদেব।-মাধব ! আমি পূর্ব্বে তোমার সখাকে বলেছিলাম মে, প্রয়োজন • হইলেই প্রয়োগ সংহার মন্ত্রের সহিত পাশুপত তোমার । স্মৃতিপথে উদিত হ’বে । সুতরাং এত দূর কষ্ট করে আসবার কিছু প্রয়োজন ছিল না। বৎস নন্দি ! আমার ধনুঃশর আনয়ন কর । ( নন্দীর ধনুঃশারানয়ন ) (সহসা মহাদেবের দক্ষিণ পার্শ্ব ভেদ করিয়া, এক জন ব্রহ্মচারীর আবির্ভাব ) ব্রহ্মচারী।-(নন্দীর জুস্ত হইতে ধনুঃশর গ্রহণ করিয়া আলীঢ় সংস্থানে উপবেশন ) . . . শ্রীকৃষ্ণ -সখে ! মনঃ ংযোগ” পূর্বক মৌবী আকর্ষণ, ধনুর্ধারণ, পাদসংস্থান প্রভৃতি। অবলোকন করে ভব-মুখ-নিঃস্থত মন্ত্র গ্রহণ কর । অৰ্জ্জুন -( ব্রহ্মচারীর দিকে লক্ষ্য রাখিয়া মন্ত্রগ্রহণ ) ব্রহ্মচারী।-( ঝণাত্ম্যাগ ও ধনুঃ রাখিয়া-সুবিধান ) ) {
