পাতা:আলালের ঘরের দুলাল.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ৮৫ ]

মতিলালের অসদ্ব্যবহারে তাঁহারা ম্রিয়মাণ ছিলেন, মনে কিছুমাত্র সুখ ছিল না—লোক গঞ্জনায় অধোমুখ হইয়া থাকিতেন, এক্ষণে রামলালের সদ্গুণে মনে সুখ ও মুখ উজ্জ্বল হইল। দাসদাসীরা পূর্ব্বে মতিলালের নিকট কেবল গালাগালি ও মার খাইয়া পালাই২ ডাক ছাড়িত—এক্ষণে রামলালের মিষ্ট বাক্যে ও অনুগ্রহে ভিজিয়া আপন২ কর্ম্মে অধিক মনোযোগী হইল। মতিলাল, হলধর ও গদাধর রামলালের কাণ্ড কারখানা দেখিয়া পরস্পর বলাবলি করিত, ছোঁড়া পাগল হল—বোধ হয় মাথায় দোষ জন্মিয়াছে। কর্ত্তাকে বলিয়া ওকে পাগ্‌লা গারদে পাঠান যাউক—একরত্তি ছোঁড়া, দিবারাত্রি ধর্ম্ম২ বলে —ছেলে মুখে বুড়ো কথা ভালো লাগে না। মানগোবিন্দ, রামগোবিন্দ ও দোলগোবিন্দ মধ্যে মধ্যে বলে —মতিবাবু! তুমি কপালে পুরুষ —রামলালের গতিক ভাল নয় —ওটা ধর্ম্ম২ করিয়া নিকেশ হবে, তারপর তুমিই সমস্ত বিষয়টা লইয়া পায়ের উপর পা দিয়া নিছক মজা মার। আর ওটা যদিও বাঁচে তবু কেবল জড়ভরতের মত হবে। আ মরি! যেমন গুরু তেমন চেলা —পৃথিবীতে আর শিক্ষক পাইলেন না! একটা বাঙ্গালের কাছে গুরুমন্ত্র পাইয়া সকলের নিকট ধর্ম্ম২ করিয়া বেড়ান। বড় বাড়াবাড়ি কর্‌লে ওকে আর ওর গুরুকে একেবারে বিসর্জন দিব। আ মর! টগ্‌রে ছোঁড়া বলে বেড়ায়, দাদা কুসঙ্গ ছাড়্‌লে বড় সুখের বিষয় হবে —আবার বলে বরদা বাবুর নিকট গমনাগমন করিলে ভাল হয়। বরদা বাবু—বুদ্ধির ঢেঁকি। গুণবানের জেঠা! খবরদার মতিবাবু, তুমি যেন দমে পড়ে সেটার কাছে যেও না। আমরা আবার