[ ১০২ ]
ভেল্কি ও নানা প্রকার দৈব বিদ্যা ভাল জানেন, এই কারণ নানারকম স্ত্রীলোক আসিয়া সর্ব্বদাই ফুস ফাস করিত। যেমন দেবা তেমনী দেবী—ঠকচাচা ও ঠকচাচী দুজনেই রাজযোটক—স্বামী বুদ্ধির জোরে রোজগার করে, স্ত্রী বিদ্যার বলে উপার্জ্জন করে। যে স্ত্রীলোক স্বয়ং উপার্জ্জন করে তাহার একটু২ গুমর হয়, তাঁহার নিকট স্বামীর নির্জ্জলা মান পাওয়া ভার, এই জন্যে ঠকচাচাকে মধ্যে২ দুই একবার মুখঝাম্টা খাইতে হইত। ঠকচাচী মোড়ার উপর বসিয়া জিজ্ঞাসা করিতেছেন— তুমি হর রোজ এখানে ওখানে ফিরে বেড়াও —তাতে মোর আর লেড়কাবালার কি ফয়দা? তুমি হর ঘড়ি বল যে হাতে বহুত কাম, এতনা বাতে কি মোদের পেটের জ্বালা যায়। মোর দেল বড় চায় যে জরি জর পিনে দশজন ভাল২ রেণ্ডির বিচে ফিরি, লেকেন রোপেয়া কড়ি কছুই দেখি না, তুমি দেয়ানার মতো ফের—চুপচাপ মেরে হাবলিতে বসেই রহ। ঠকচাচা কিঞ্চিৎ বিরক্ত হইয়া বলিলেন—আমি যে কোশেশ করি তা কি বল্ব, মোর কেত্না ফিকির—কেত্না ফন্দি—কেত্না প্যাঁচ—কেত্না শেম্ভ তা জবানিতে বলা যায় না, শিকার দন্তে এল২ হয় আবার পেলিয়ে যায়। আলবত সিকার জল্দি এসবে এই কথাবার্ত্তা হইতেছে ইতিমধ্যে একজনা বাঁদি আসিয়া বলিল বাবুরাম বাবুর বাটী হইতে একজন লোক ডাকিতে আসিয়াছে। ঠকচাচা অমনি স্ত্রীর পানে চেয়ে বলিল—দেখ্চ মোকে বাবু হরঘড়ী ডাকে—মোর বাত না হলে কোন কাম করে না। মুইও ওক্তবুঝে হাত মার্বো।
বাবুরামবাবু বৈঠকখানা বসিয়া আছেন। নিকটে বাহির সিমলের বাঞ্ছারাম বাবু, বালীর বেণী বাবু ও