কালীর অক্ষর নাই, চিঠি পড়া ভারি বিপত্তি হইল। অনেকক্ষণ পরে নিকটস্থ দে দের বাটীর একজনকে ডাকাইয়া চিঠির মর্ম্ম এই জানা হইল যে, জান সাহেবের প্রায় অনাহারে দিন যাইতেছে —তাহার টাকার বড় দরকার। মানগোবিন্দ বলিল—বেটা বড় বেহায়া —তাহার জন্যে এত টাকা গর্ব্ভস্রাবে গেল তবু ছিড়েন নাই, আবার কোন্ মুখে টাকা চায়? দোলগোবিন্দ বলিল —ইংরাজকে হাতে রাখা ভাল —ওদের পাতাচাপা কপাল—সময় বিশেষে মাটি মুটটা ধরিলে সোণা মুটা হইয়া পড়ে। মতিলাল বলিল —তোমরা বকাবকি কেন কর আমাকে কাটিলেও রক্ত নাই —কুটিলেও মাংস নাই।
এখানে বালী হইতে বেচারাম বাবু পার হইয়া বৈকালে ছক্ড়া গাড়িতে ছড়র২ শব্দে “সেই যে ভস্মমাখা জটে —যত দেখ ঘটে পটে সকল জটের মুটে” এই গান গাইতে২ উত্তরমুখো চলিয়াছেন —দক্ষিণ দিক থেকে বাঞ্ছারাম বগি হাঁকাইয়া আসিতেছেন —দুইজনে নেক্টা নেক্টি হওয়াতে ইনি ওঁকে ও উনি এঁকে হুম্ড়ি খাইয়া দেখিলেন —বাঞ্ছারাম বেচারামের আবছায়া দেখিবা মাত্রেই ঘোড়াকে সপাসপ্ চাবুক কসিয়া দিলেন —বেচারাম অমনি তাড়াতাড়ি আপন গাড়ির ডল্কা দ্বার হাত দিয়া কসে ধরিয়া ও মাথা বাহির করিয়া “ওহে বাঞ্ছারাম! ওহে বাঞ্ছারাম!” বলিয়া চীৎকার করিতে লাগিলেন। এই ডাকাডাকি, হাঁকাহাঁকিতে বগি খাড়া হইল ও ছক্ড়া ছননন্২ করিয়া নিকটে গেল। বেচারাম বাবু বলিলেন —বাঞ্ছারাম! তুমি কপালে পুরুষ তোমার লাভের