পাতা:আলালের ঘরের দুলাল.djvu/১৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ১৭৩ ]

যা আছে তাই হবে মোরা আর টাকাকড়ি সরবরাহ করিতে পারিব না। বাঞ্ছারাম কিঞ্চিৎ চটে উঠিয়া বলিলেন —সুদু হাঁড়িতে পাত বাঁধিয়া কত করিব এসব কর্ম্মে‌ কেবল কেঁদে কি মাটি ভিজানো যায়?

 এদিকে রস্‌ল সাহেব উল্টে পাল্টে দেখিয়া আসামিদের প্রতি দৃষ্টি করত এই হুকুম দিলেন— “ঠকচাচা ও বাহুল্য! তোমাদের দোষ বিলক্ষণ সপ্রমাণ হইল— যে সকল লোক এমন দোষ করে তাহাদের গুরুতর দণ্ড হওয়া উচিৎ, এ কারণে তোমরা পুলিপালমে গিয়া যাবজ্জীবন থাক।” এই হুকুম হইবামাত্র আদালতের প্রহরিরা আসামিদের হাত ধরিয়া নীচে লইয়া গেল। বাঞ্ছারাম পিচ কাটিয়া এক পার্শ্বে দাঁড়াইয়া আছেন —কেহ২ তাঁহাকে বলিল —এ কি —আপনার মকদ্দমাটা যে ফেঁসে গেল?—তিনি উত্তর করিলেন —এ তো জানাই ছিল —আর এমন সব গল্‌তি মামলায় আমি হাত দি না —আমি এমত সকল মকদ্দমা কখনই ক্যার করি না।


২৮ বেণী ও বেচারাম বাবুর নিকট বরদা বাবুর

সততা ও কাতরতা প্রকাশ এবং ঠকচাচা ও

বাহুল্যের কথোপকথন।


 বৈদ্যবাটীর বাটী ক্রমে অন্ধকারময় হইল —রক্ষণাবেক্ষণ করে এমন অভিভাবক নাই —পরিজনেরা দুরবস্থায় পড়িল —দিন চলা ভার হইল, গ্রামের লোকে বলিতে লাগিল বালির