বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আলালের ঘরের দুলাল.djvu/১৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
[ ১৭৭ ]

তাহাদের উপবাসে দিন যাইতেছে, এ কথা শুনিয়া বড় দুঃখ হইল, এজন্য আমার নিকট যে দুই শত টাকা ছিল তাহা আনিয়াছি। আপনারা আমার নাম না প্রকাশ করিয়া কোন কৌশলে এই টাকা পাঠাইয়া দিলে আমি বড় আপ্যায়িত হইব।

 এই কথা শুনিয়া বেণী বাবু নিস্তব্ধ হইয়া থাকিলেন। বেচারাম বাবু ক্ষণেক কাল পরে বরদা বাবুর দিকে দৃষ্টি করিয়া ভক্তিভাবে নয়নবারিতে পরিপূর্ণ হওত তাঁহার গলায় হাত দিয়া বলিলেন —ভাই হে! ধর্ম্ম যে কি পদার্থ, তুমিই তাহা চিনেছ —আমাদের বৃথা কাল গেল —বেদে ও পুরাণে লেখে যাহার চিত্ত শুদ্ধ সেই পরমেশ্বরকে দেখিতে পায় —তোমার যেমন মন পরেমশ্বর তোমাকে তেমনি সুখে রাখুন। তবে রামলালের সংবাদ কিছু পাইয়াছ?

 বরদা। কয়েক মাস হইল হরিদ্বার হইতে এক পত্র পাইয়াছি —তিনি ভাল আছেন —প্রত্যাগমনের কথা কিছুই লেখেন নাই।

 বেচারাম। রামলাল ছেলেটি বড় ভাল —তাকে দেখলে চক্ষু জুড়ায় —অবশ্য তার ভাল হবে —তোমার সংসর্গের গুণে সে তরে গিয়েছে।

 এখানে ঠকচাচা ও বাহুল্য জাহাজে চড়িয়া সাগর পার হইয়া চলিয়াছে। দুটিতে মানিক যোড়ের মত, এক জায়গায় বসে —এক জায়গায় খায় —এক জায়গায় শোয়, সর্ব্বদা পরস্পরের দুঃখের কথা বলাবলি করে। ঠকচাচা দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ করিয়া বলে —মোদের নসিব বড় বুরা —মোরা একেবারে মেটি হলুম —ফিকির কিছু বেরোয় না, মোর শির