বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:আশাকানন.pdf/৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫৬
হেমচন্দ্র-গ্রন্থাবলী

নব দূর্ব্বাময় ভূমি সমতল
বিস্তার বহুল দূর,
প্রান্তভাগে তার পড়েছে ঢলিয়া
নীল নভঃ সুমধুর;
তরুণ তপন তরুর শিখরে
ঘন চিকিচিকি করে;
শাখা বল্লী যেন ভানুরশ্মি মাখি
দুলিছে সুখের ভরে;
প্রফুল্ল ভাস্কর কিরণ প্রকাশি
প্রফুল্ল করেছে বন;
মৃদুতর তাপ পরশি শরীর
স্নিগ্ধ করে অনুক্ষণ।
হেমন্ত-প্রভাতে যেন সুমধুর
সূর্য্যের মৃদুল ভাতি
সুখে ভুঞ্জে লোক আলোকে বসিয়া
কিরণে শরীর পাতি,
এথা সেইরূপ পশু পক্ষী প্রাণী
ভ্রমে সুখে নিরস্তর
অঙ্গেতে মাখিয়া স্নিগ্ধ নিরমল
উজ্জ্বল ভানুর কর।
চারি দিকে কত নেহারি সেখানে
তৃণমাঠ গোষ্ঠ'পরে
নিজ নিজ বৎস লৈয়ে গাভী মেষ
নিরন্তর সুখে চরে;
শস্য নানা জাতি ক্ষিতি-শোভাকর
বীজ পুষ্প ধরি কোলে
কিরণে ডুবিয়া পবন-হিল্লোলে
হেলিয়া হেলিয়া দোলে।
নিরখি চৌদিকে কৌতুকে সেখানে
শস্যস্তম্ভ নতশির