পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিরাজবাবু সেই দিনের भिलिङकाछैन উচ্চ হাসিতে যোগ দিতে । পারিয়াছিলেন । কি-না, তাহার কোন ইতিহাস আমরা পাই নাই। : আশুতােষের সেই প্রাণ-খােলা হাসি মনে পড়ে, তাহা অধরের প্রান্তে । শুভ্র চন্দ্রিকার মত মিলাইয়া যাইত না, তাহা মামুলী ভদ্রতার সৌজন্যে মনের - ভাব প্রচ্ছন্ন করিবার উপায় ছিল না ; যাহাকে काई-ट्रॉनि द८ब्, q शान्त्रि মােটেই সে হাসি নহে। ইহা ছিল অট্টহাসি, তাহা সমস্ত হৃদয়ের আনন্দের ৷ डा७द्ध भूलिश। দেখাইত। ইহা ছিল প্রসন্নতার স্বরূপ, ठूष्ठि প্রকৃতির জটিল কেৰ চিত্ত লোক এরূপ হাসি হাসিতে পারে না। যেরূপ । দিবালোকে সমস্ত দিক প্রকাশিত হইয়া উঠে, আশুতোষের । "*" উচ্চ হাস্যে সেইরূপ তাহার সমস্ত অন্তরের ভাব প্রকাশিত : হইয়া পড়িত। সমুদ্র-তরঙ্গের সংঘাত-জনিত উচ্চ রোলকে কবি এসকাইলাস । gaot zitfrig (27 giai sfi(gr—“The eternal laughter of waves”। এই হাস্য আমরা আর একজন খ্যাত-নামা, ঋষিকল্প লোকের মধ্যে পাইতাম, ইহা শুধু দন্ত-রুচি-বিকাশ নহে, ইহা অধরেীষ্ঠের সঙ্কোচন-প্রসারণসস্তুত, শব্দহীন, শুষ্ক হাসি নহে—ইহা মুক্ত প্রাণ, সহৃদয় ব্যক্তির বীরের মত । কণ্ঠ-ধ্বনি। পরম শ্রদ্ধেয় স্বৰ্গীয় দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর এইরূপ হাসি হাসিতেন । । আশুতোষের দু’টি চোখের তারা সময়ে সময়ে ইসারার দ্বারা হৃদয়ের প্রসন্নতা জানাইত। কোন কথা না বলিলেও সেই চোখের ইঙ্গিতে যে সহানুভূতি, সম্মতি বা উৎসাহ বুঝাইত, ভাষা তাহার উপর আর কিছু বুঝাইতে । পারে না। শ্যামাপ্রসাদ তাহার পিতার এই অপূর্ব কৌতুক, আনন্দ ও সহানুভূতি-জ্ঞাপক নয়ন-ভঙ্গীর উল্লেখ করিয়াছেন। তাহার কন্যা কমলা দেবী বিধবা হইলে তিনি তঁহাকে দ্বিতীয় বার বিবাহ দিয়াছিলেন। আশুবাবু সমাজসংস্কারক ছিলেন না, তিনি বন্ধুকস্তাৱ দ্বিতীয় বার বান্ধবদের মধ্যে বিধবা-বিবাহ চালাইতে চেষ্টা করেন নাই, বিবাহ, বিধবা-বিবাহ-সম্বন্ধে কোন দিন কোন বক্তৃত করেন নাই, কোন কিছু লেখেন নাই। তিনি দেশ হইতে পাণ-প্রথা উঠাইয়া দিবার কোন চেষ্টা করেন নাই, বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে অভিযান বা কৌলিন্য ঐথী-নিবারণ-ইত্যাদি সামাজিক কোন সমস্যা লইয়া ব্যস্ত হ’ন নাই।