\ ஒ i. মাত্র বুঝিতে পারা যাইবে। র্তাহার বাড়ী নির্ম্মাণে, সন্তানাদির বিবাহে কত ব্যয় হইয়াছে, মুহুর্তের মধ্যে কড়া-ক্রোন্তির হিসাব-সহ সেই খাতা হইতে জানিতে পারা যায়। মৃত্যুর কিছু পূর্বে যখন তিনি বাতে পঙ্গু হইয়া পড়েন, সেই সময়ের অব্যবহিত পূর্ব পর্যন্ত সমস্ত হিসাব র্তাহার নিজ হাতের লেখা-আমি শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নিকট দেখিয়াছি। র্তাহার জীবনে তিনি কত অর্থ উপার্জন করিয়াছেন এবং কি কি ভাবে সেই অর্থ অর্জিত হইয়াছেতাহা এরূপ অপূর্ব শৃঙ্খলা ও বিশুদ্ধতার সঙ্গে লিখিত হইয়াছে, যাহাতে এই হিসাবের খাতাগুলিকে ধৈর্য্যের কীর্ত্তি-স্তম্ভ বলিলেও অত্যুক্তি ठूश ब्] । যখন গঙ্গাপ্রসাদ স্বয়ং অশক্ত হইয়া পড়িলেন, তখন তঁহারই নিয়মসুবর্ত্তন করিয়া আশুতোষ স্বয়ং বহুদিন সেই হিসাব লিখিয়াছিলেন। পারিবারিক হিসাব এমন বিশুদ্ধভাবে ও শৃঙ্খলার সহিত রক্ষিত হওয়ার রীতি আমি ইহার পূর্বে আর কোথায়ও দেখি নাই। রাজা, মহারাজা বা ধনাঢ্য মহাজনের হিসাব কর্ম্মচারীদিগের দপ্তরে রক্ষিত হয় ; কিন্তু কোন একটা বিষয় তাহা হইতে বাছিয়া বাহির করিতে হইলে কাগজের স্তৃপ ঘাঁটিতে হয়, এবং একাধিক কর্ম্মচারী তাহা খুজিতে খুজিতে হয়রাণ হইয়া হয়ত সপ্তাহান্তে তাহার একটা হদিস করিয়া উঠেন। কিন্তু এই হিসাবের পুস্তকগুলি একরূপ কল্পতরু, সারাজীবনের আয়-ব্যয় এক মুহুর্তের মধ্যে উহা হইতে পাওয়া যায়। গঙ্গাপ্রসাদের সমস্ত জীবনের আয়-টাকা, আনা, পাই-আমি এক মুহুর্তের মধ্যে খুজিয়া পাইয়াছিলাম। স্বৰ্গীয় মহেন্দ্রনাথ বিদ্যানিধি মহাশয় আশুতোষের পূর্ব পুরুষদের ংশলতা সমগ্র-ভাবে খুজিয়া পান নাই, তাহার অপেক্ষ আমি আর একটা ংশলতা বেশী দিয়াছি ( ৪ পৃঃ), কিন্তু আমিও রাম হইতে পুরুষোত্তম পর্যন্ত বংশলতা খুজিয়া পাই নাই। সুখের বিষয় শ্রীযুক্ত রমাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় মহাশয় তঁহাদের পারিবারিক প্রাচীন কাগজ-পত্র হইতে একটি ফিরিস্তি বাহির করিয়াছেন, তাহা বহুপূর্বে তিনি স্বয়ং বিশ্বস্তসূত্রে প্রাচীন কুলজী ও প্রাচীন কাগজ-পত্র হইতে সংগ্রহ করিয়াছিলেন। তঁহাকে আমার পুস্তকের পাণ্ডুলিপি দেখাই নাই, এজন্য এখন দেখিতেছি, আমার অনেক ত্রুটি-বিচূতি ...,' :) I } ,{ د
