পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লীলাবসান । “বিসৰ্জি’ প্রতিমা যেন দশমী দিবসে । সপ্ত দিবা নিশি লঙ্কা কঁাদিল নীরবে।” : -भाईकल "He was the greatest Bengalee of his generation. I do not think that I should be wrong, if I were to say that in many respects he was the greatest Indian of his days.” -Chief Justice of Calcutta High Court. (27-5-24) মৃত্যুর পূর্ব হইতেই আশুতোষ নানারূপ পারিবারিক অশান্তির মধ্যে জীবন যাপন করিতেছিলেন। ১৯১৪ খৃষ্টাব্দের এপ্রিল মাসে। তঁহার জননী পুণ্যশীলা জগত্তারিণী দেবীর দেহান্ত ঘটে। এই ঘটনায় স্বভাবতঃই তাহার মত মাতৃভক্ত পুত্রের হৃদয়ে নিদারুণ আঘাত লাগিয়াছিল। কিন্তু এই মৃত্যু এরূপ এক অবস্থায় ঘটিয়াছিল, যাহাতে শোকটা তাহার পক্ষে কতকটা অসহ্য হইয়াছিল এবং সেই কষ্ট তিনি অবশিষ্ট জীবনে একদিনও ভুলিতে পারেন নাই। সে ঘটনাটি এই :- জগত্তারিণী দেবী নানারূপ পীড়া ভোগ করিতেছিলেন, কিন্তু শীঘ্র যে মৃত্যু ঘটবে, এ আশঙ্কা কেহ করেন নাই।। ১৩ই এপ্রিল ( ১৯১৪ খৃঃ অঃ) কাশিমবাজারের মাননীয় মহারাজা মণীন্দ্রচন্দ্র নন্দী কোন উৎসবে আশুতোষকে নেতৃত্ব করিবার জন্য আমন্ত্রণ করিলেন। যদিও মাতৃদেবীর আসন্ন মৃত্যুর -- কোন লক্ষণই ছিল না, তথাপি আশুতোষ তাহার সান্নিধ্য হইতে দূরে যাইতে সহজে স্বীকৃত হইতেন না । কিন্তু মহারাজা বাহাদুর না-ছোড়বান্দী হইয় তাহাকে স্নেহের জোরে একরূপ টানিয়া লইয়া গেলেন। মাতা বলিলেন,-“দুই এক দিনের জন্য যাইতে ক্ষতি কি ?” শনিবার তিনি কাশিমবাজার গেলেন, রবিবার ( ১৪ই এপ্রিল) তিনি কলিকাতা হইতে “তার” পাইলেন যে, তঁহার মাতৃদেবী চিরতরে পৃথিবী ছাড়িয় গিয়াছেন। সন্ন্যাস-রোগে তিনি হঠাৎ মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন,—এই ঘটনা সৗভাবিত এবং একরূপ ধারণার অতীত ছিল। আশুতোষ আসিয়া মাতার মাতৃবিয়োগ