পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R\9o wrver-free আমার তন্ত্রা আসিল । সহসা এ কি দেখিলাম ? জীবন্ত আশুতোষধুতির অযত্ন-স্যন্ত কেঁচােট পায়ের কাছে হেলিয়া পড়িয়াছে, সেই ? কোটুটি গা’য়, বিশাল গুস্ফে ওষ্ঠাধর আবৃত, সেই शूटिं,-ठेिक তিনি আমার কাছে আসিয়া থমকিয়া দাড়াইলেন এবং অর্কুকণ্ঠে বললেন“আপনার এ হুৰ্দশা কে করিল ?” মুহুর্তের মধ্যে করুণায় আমার 2 ভরিয়া গেল এবং আমি জাগিয়া উঠিলাম,—দেখিলাম, তিনি নাই, কিন্তু আমার চোখের দুই ফোটা জল গণ্ডে নামিয়া পড়িয়াছে। এই সময়ে স্মিতমুখে খগেনবাবু আসিয়া বলিলেন,-“এই যে, কতক্ষণ ?” আমি চোখের জল র্তাহার আড়ালে মুছিয়া ফেলিলাম। সেই একবার তিনি আমাকে স্বপ্নে দেখা দিয়া গিয়াছেন। তঁহার সুেহ, উৎসাহ ও তৎপ্রদত্ত গৌরব এ জীবনে কেমন করিয়া ভুলিব ? যে দিন এফ, এইচ), টমাস আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণ করেন, সে দিন আমাকে তঁহার সহিত পরিচিত করার উপলক্ষে তিনি বলিয়াছিলেন,-“He is a pillar of our University,’’ এমন গৌরব আমাকে আর কে দিবে ? অথচ তিনি আমার সমক্ষে প্রশংসা আর কখনও করিয়াছেন বলিয়া আমার মনে হয়। না। র্তাহার প্রিয় দ্বিতীয় পুত্র শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ইংরাজীতে বি, এ, অন্যাস পরীক্ষায় সর্বোচ্চস্থান অধিকার করিয়াছিলেন, কিন্তু তঁহাকে ইংরাজীতে এম, এ পরীক্ষা দিতে না দিয়া তিনি তঁহাকে বঙ্গ-বিভাগের এম, এ ক্লাসে ভর্ত্তি করিয়া দিয়াছিলেন, ইহাতে র্তাহার মাতৃভাষার প্রতি গভীর অনুরাগ ও আমার প্রতি বিশ্বাসের পরিচয় পাইয়াছিলাম । তাহার স্বৰ্গারোহণের পর যখনই বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়াছি, তখনই মুন কঁাদিয়া উঠিয়াছে-ভাবিয়াছি যেন আমার পায়ের নীচ হইতে পৃথিবী সরিয়া গিয়াছে,-আমি নিরবলম্ব এবং শক্তিহারা ; তখন তঁহার স্মৃতি ও তৎসম্বন্ধে শত কথা স্মরণ করিয়া আমার চক্ষু দুইটি ভারাক্রান্ত হইয়াছে। সেই স্মৃতির আলেখ্য যথা সম্ভব সতর্কতার সহিত এই পুস্তকে অঙ্কন করিতে চেষ্ট कत्रिशूछि ।