পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৫০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R 88 जाerउारु-पूठिक९) ছোট ছোট ব্যাপারে তিনি অহেতুকভাবে কাহারও মনে ব্যথা দিতে প্রস্তুত ছিল। না। কিন্তু যখন কর্ত্তব্যের অনুরোধে সত্য এবং ন্যায়পরতার জন্য দরকার হইত। তখন দেশের সর্বপ্রধান ব্যক্তির ভ্রকুটিতেও তিনি ভীত হইতেন না। সে সময়ে তিনি সিংহ বিক্রান্ত হইতেন এবং কাহারও সাধ্য ছিল না যে তঁহাকে দমন করে । আতি শৈশব হইতেই আশুতোষ খুব ভোরে উঠতে অভ্যস্ত ছিলেন। তাহার সমস্ত কার্য্যই নিয়মিত ও শৃঙ্খলাবদ্ধ ছিল এবং তিনি ঘড়ির কঁাটার মত ঠিকভাবে কার্য্য করিতেন। রাত্রি ৪টার সময়ে তিনি ঘুম হইতে উঠিতেন এবং আর আধা ঘণ্টা পরেই কাজ করিতে বসিয়া যাইতেন। অন্ততঃ এক ঘণ্টাকাল শীতল প্রাতঃসমীরণের ংস্পর্শে থাকা দেহের পক্ষে ইষ্টজনক, এই হিতকর শিক্ষা তিনি তঁহার দশম বৎসর হইতে পিতার নিকট পাইয়াছিলেন। তজ্জন্য মৃত্যুর মাত্র দুই দিন পূর্ব পর্য্যন্তও তিনি তঁহার এই আজীবনের অভ্যাস নিয়মিতরূপে পালন করিয়া আসিয়াছিলেন । র্তাহার পরিশ্রম করিবার শক্তি ছিল অদ্ভুত। প্রাতঃকালে তিনি হাইকোটের |ায়, বিষয়ের বিবরণী, টীকা-টিপ্পানী এবং বহু পত্রের উত্তর কহিয়া লিখাইতেন । দুইজন টাইপিষ্ট সর্বদা তাহার সঙ্গে থাকিত,—এই গুরুতর কার্য্যে তাহদের অবকাশ মাত্র থাকিত না । হাইকোট হইতে তিনি প্রতিদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে যাইতেন এবং কোন কোন দিন অপর কোন প্রতিষ্ঠানে উপস্থিত হইয়া তৎপরিচালনা-সংক্রান্ত গুরুতর কার্য্যগুলি সমাধা করিতেন। বাড়ী ফিরিতে সন্ধ্যা অতিক্রান্ত হইয়া যাইত। সন্ধ্যার পরে আহারাদি করিয়া তিনি পুনরায় কােজ লইয়া বসিতেন এবং রাত্রি ১০টা পর্য্যন্ত কাজ করিতেন । এই সময়টা তাহার অধ্যয়নের জন্য নিয়োজিত ছিল । তিনি আলস্যকে দস্তুর মত মত ঘূণা করিতেন এবং লোকে কি করিয়া সময় নষ্ট করিয়া সন্তুষ্ট থাকিতে পারে, তাহা বুঝিতেন না। যে কোন কাজে তিনি হস্তক্ষেপ করিতেন, তাহাই সুচারুরূপে এবং সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করিতেন। তিনি কখনও কাজ অসমাপ্ত বা অৰ্দ্ধসমাপ্ত করিয়া রাখিতেন না। আশুতোষ তাহার এরূপ বিচিত্র কার্য্যাবলী ও কর্ত্তব্য রাশি সম্পাদন করিতে কিরূপে সময় পাইতেন, তাহ ভাবিলে বিস্মিত হইতে হয়। অবিরত জল-স্রোতের মত দর্শনেচ্ছ ব্যক্তিগণ র্তাহার দ্বারে ছুটিয়া আসিত ; সেই দ্বার সর্বদা শ্রেণী-নির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকিত। এই মহামনা মনীষী ব্যক্তির উপদেশ ও সাহায্য পাওয়ার জন্য সর্বশ্রেণী এবং সর্ব অবস্থার লোক তাহার কাছে আনাগোনা করিত । র্যাহারা আসিতেন, তঁহাদের সঙ্গে কোন কায়দা বা বাহা ভদ্রতা দেখাইতে তিনি আদৌ ব্যস্ত হইতেন না ; নামের কার্ড পাঠাইয়া দেখা করিবার কোন দরকার হইত না এবং ব্যক্তি-বিশেষের প্রতি ব্যবহার-গাত পার্থক্য বা পক্ষপাত তিনি দেখাইতেন না । তিনি সকলকে তঁহার অভ্যস্ত মিষ্ট হাসি এবং সেই চিরপরিচিত চোখের ভঙ্গী সহ গ্রহণ