পরিশিষ্ট R ( ) ই, অথবা দার্শনিক উপেক্ষার ভান করে, সেই সকল লোককে আশুতোষ অত্যন্ত করতেন। তিনি তাহার মৃতকল্প দেশ-বাসীর অসাড় দেহ মৃত-সঞ্জীবনী অমৃত দ্বারা উজ্জীবিত করিতে চেষ্টা পাইয়াছিলেন। তিনি স্বয়ং সেই অমৃতপায়ী ছিলেন। বিবেকানন্দের যে ধর্ম্ম, তাহারও তাঁহাই ছিল,-ভগবানের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরতা এবং মানুগের সেবা। একথা আশুতোষ-সম্বন্ধে একটা নিশ্চিত সত্য যে, কোন বিপদই তাহার দ্র কুঞ্চিত এবং ললাট তমসাচ্ছন্ন করিতে পারে নাই। র্তাহার অন্তঃপ্রকৃতিতে চিরপ্রসন্নতা বিরাজিত ছিল, এই প্রসন্নতা সর্ব্বত্যাগীর কঠোর সাধনালব্ধ প্রসন্নতা—যিনি অনুভব করিয়াছেন যে, জয়-পরাজয় কিছুই নাই, পরাজয়ের প্রকৃত অর্থ জয় । যখন তিনি গীত জীবনের একটা হিসাব-নিকাশ করিতে বসিতেন,-তিনি কি করিয়াছেন এবং এখনও কি করিতে বাকি আছে-এ সকল কথা আলোচনা করিতেন, তখন তাহার। মন উৎসাহ-চঞ্চল হইয়া উঠিত, কর্ম্ম-শক্তি দ্বিগুণ উদ্বদ্ধ হইত, তিনি দুৰ্দমনীয় ইচ্ছার বেগ DBDBBDDuDuuDkDS S KBBBD tD BD S BDBDS করিতেন, পাছে তৎকৃত জীবনোৎসর্গ ভগবানের নিকট অযোগ্য বলিয়া উপেক্ষিত হয়। জীবনের পর জীবন পুঞ্জীভূত হইলেও তঁহার দুর্ব্বার সেবাধর্ম্মের আকাজক্ষার পক্ষে *াহা অতি অকিঞ্চিৎকর হইত। হায়, একটি মাত্র জীবনের অতি অল্পই অবশিষ্ট ছিল । যদি তিনি আরও কয়েক বৎসর বঁচিয়া থাকিতেন, তবে তিনি আর কোন কোন গৌরব-জনক কর্ম্মে লিপ্ত হইতেন, এবং স্বাধীনতা-সংগ্রামে দৃঢ়তর যোদ্ধ বেশে আর কোন রই স্তর ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হইতেন, তাহা আমরা জানি না । কিন্তু যাহা হইয়াছে, তাহাতে আমাদের ভবিষ্যতের বহু অচরিতার্থ আশা-ভরসা লইয়াই ক্ষান্ত থাকিতে হইবে । 5 [ আশুতোষের মৃত্যুর অব্যবহিত পরে কৃষ্ণনগরে তঁাহার যে শোক-সভা হয়, তাহার সভাপতি স্বরূপ গ্রন্থকার নিম্নলিখিত প্রবন্ধ পাঠ করিয়াছিলেন,—ইহা “বঙ্গবাণী’ পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিল। ] সিংহ ছাড়িয়া গেলে গহবরটি যেরূপ দেখায়, পাখী ছাড়িয়া গেলে খাচাটি যেমন পড়িয়া থাকে, দ্বারভাঙ্গা বিদ্যা-মন্দিরের আজ সেই অবস্থা। যে মহাশূন্যতা দ্বারভাঙ্গা মন্দিরে দেখিলাম, সে দিন শ্যামাপ্রসাদের মুখেও সেই মহাশূন্যতার আভা দেখিয়া চমৎকৃত የኑ
