পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

firfဒြာffiဇွဲ S ፃ Š বিদ্যাসাগর ও আশুতোষের মধ্যে চরিত্রগত আর একটি সাদৃশ্য আছে। উভয়ের বাহির কতকটা কৰ্কশ ; খুব শ্রুতি-মধুর, মিষ্ট বাক্যে ইহাদের কেহই প্রার্থীর মন মুগ্ধ কৱিতেন না, কিন্তু উভয়েই প্রাণবন্ত ছিলেন। পরদুঃখের কথায় উভয়ের হৃদয়ই দয়ার্দ্র হইতে ও সাহায্য করিবার আকাজক্ষা প্রবল হইয়া উঠিত। মসৃণ ভাষায় আশার কুহক সৃজন করিয়া ইহাদের কেহই পরিণামে আশা-ভঙ্গ করিতেন না, বরঞ্চ যেখানে প্রার্থীর মনস্কামনা পূর্ণ করিবেন, ইহা নিশ্চিতরূপে জানিতেন, সেখানেও ইহার বাক্য-পল্লবের বাহুল্য সৃষ্টি করিতেন না । কখনও কখনও বাঙ্গলার ব্যাস্ত্র, প্রার্থীরা বিরক্ত করিলে, ব্যাস্ত্র-গৰ্জনে তাহদের আতঙ্ক উপস্থিত করিতেন, কিন্তু তাহাতে দয়ার প্রস্রবণ শুকাইত না। ফন্তু-নদীর মত দয়ার প্রবাহ বাহ ব্যবহারের শুষ্ক বালুক-স্তুপের অভ্যন্তরে প্রবাহিত হইত। বিদ্যাসাগরের ব্যবহারও মাঝে মাঝে উগ্র, এমন কি কঠোর বলিয়া মনে হইতে পারিত। প্রথম দিন আমি যখন তাহার সঙ্গে দেখা করিয়া মেট্রোপলিটান স্কুলে । শিক্ষকতার প্রার্থনা জানাইয়াছিলাম, তখন বিদ্যাসাগর বলিলেন,-“তুই কি পাশ ?” আমি বলিলাম,-“ইংরেজীতে অনাস সহ বি, এ, পাশ করিরছি এবং মফঃস্বলের এক হাইস্কুলে হেড মাষ্টারী করিতেছি।” । । “তোর বাড়ী কোথায় s is - , - . . ." “ঢাকা জেলায়।” s' “ও তোর চাকরি। হ’বে না, ছেলেরা বড় দুৰ্দান্ত, বাঙ্গাল নিয়ে বড় টানা-হেঁচড়া করবে। তোর কথায় তো স্পষ্ট ঢাকার টান রয়েছে, এই উচ্চারণ নিয়ে তুই একদিনও ক্লাসে পড়া’তে পারুবি নে।” অবশ্য ইহার পরে ছাত্রগণকে পড়াইতে দিয়া তিনি আমার কাজে সন্তুষ্ট হইয়াছিলেন এবং আমাকে একটি চাকুরি দিতে চাহিয়াছিলেন ; নানাকারণে আমি তখন মফঃস্বল হইতে আসিয়া তাহা গ্রহণ করিতে পারি নাই । কিন্তু এই প্রথম সম্ভাষণটা কিরূপ ? প্রথম পরিচয়ের দিনেই এরূপ মুখের উপর "বাঙ্গাল’ বলিয়া গালি দেওয়া কি ভদ্রতা ? অথচ তঁহার এই রুচি-বিগাহিত, ‘অভদ্র’ কথায় *াশার মনে কিছু মাত্র জ্বালা উপস্থিত করে নাই, কারণ, সেই পুরুষবারের চক্ষে "বাপাল’ ও পশ্চিম বঙ্গের লোকের কোন বৈষম্য ছিল না, বরঞ্চ তাহার কঠোর উক্তির মধ্যে যেন অতি নিকট গুরুজনের কথার একটা মাধুর্য ছিল। তিনি ‘বাঙ্গাল’ সারদারঞ্জন রায়কে তঁাহার কলেজের অধ্যক্ষ করিয়াছিলেন। আমি একস্থানে লিখিয়াছি, আশুতোষের ব্যবহারের দৃষ্টান্ত খৰ্জ্জুর বৃক্ষ। সেই ব্যবহারের কর্কশ, বাহ্য রূপ একেবারেই ভিতরের অমৃত রসের সন্ধান দেয় না। অথচ

  • াথষের দুঃখ দেখিলে, আর্ত্ত ও শোকাভিভূত ব্যক্তি র্তাহার কাছে আসিলে অতি