পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পরিশিষ্ট R A স্বতন্ত্রস্থানে অবস্থিত, তাহা অন্তের পক্ষে অনধিগম্য। ‘সীতার বনবাস’-পাঠ্যকালে এখনও পাঠকের চক্ষু মুহুর্মুহুঃ অশ্রুসিক্ত হইবে । এই নব-ভবভূতির লেখায় অনুবাদের কটকৃত চেষ্টার আভাষ মাত্র নাই,-ইহা যেন একখানি মৌলিক গ্রন্থ। ইহার কোন একটি শব্দ এমন নাই, যাহা রচনার কুশলতার প্রতিবন্ধক। নদী-স্রোতের ন্যায় লেখা অবিরাম গতিতে বহিয়া গিয়াছে, কোথাও একটু বাধে নাই। সংস্কৃতের পাণ্ডিত্য লেখকের সমস্ত রচনার উপর ব্রাহ্মণ্য শুচিতার একটা ছাপ দিয়াছে। তাহার লেখা সর্বত্র পরিচ্ছন্ন ও হৃদয়গ্রাহী। মৃত্যুঞ্জয়ের রুচির বর্বরতা বিদ্যাসাগরী বাঙ্গলায় কুত্রাপি নাই। বিন্যাসাগরী বাঙ্গলা এখন পর্য্যন্ত ও বালক-বালিকাদের এতান্ত নিরাপদ আদর্শ। তাহার ভাষার বিশুদ্ধতা, বাক্য-বিন্যাসের নিপুণতা, রুচির পরিচ্ছন্নতা এবং শুভ্র, নির্ম্মল, ও দোষ-লেশহীন রস-ধারা বাঙ্গালী লেখক ও ছাত্রাদিগকে যে আদর্শের সঙ্গে পরিচিত করিবে, তাহা সর্ব্বতোভাবে কল্যাণকর ও শুভার্থবিধায়ক। অথচ ভাষা ভাব-গম্ভীর श्शेल७ उांश खांद्रांकाठ्या बलिग्रा भ८न ट्रश्न न । DDB BBBBBS BBDB BDBS SsBD SLLS SDDD LLLLDBLL SBDB DDD DDD S DDBDDBB BBB igit DDDD DBBYDLS DDDDD Di DDS DDS DD BDDKS তাহাই বিন্যাসাগরের চিত্ত আকর্ষণ করিয়াছে, পরদুঃখে তাহার হৃদয় বিগলিত হইয়াছে। এই মর্ম্মানুভূতি-গুণে তাহার লেখায় যে প্রাণ-ঢালা করুণা প্রবাহিত হইয়াছে, তাহার প্রতি অক্ষরে যেন অশ্রু নিঃসৃত হইতেছে। এই সহজ হৃদয়োজ্জ্বাসে। তঁহার সমস্ত রচনা প্রাণবন্ত হইয়াছে। যে গুণে চণ্ডিদাসের কবিতা অমর, বিন্যাসাগরের রচনায়ও সেই গুণ বিদ্যমান। তিনি কিছুই নিছক কল্পনা হইতে লেখেন নাই,-যাহা লিখিয়াছেন, তাহা প্রাণের আবেগে, মর্ম্মবেদনার অধীর সুরে । এই আবেগ অতি সংক্রামক এবং এইজন্য বিন্যাসাগরের পাঠক সাশ্রনেত্রে তাহার পুস্তকগুলি পড়িবেন। এমন কি মাত্র ই'চার পৃষ্ঠাব্যাপী তিনি যে তাহার অতিশয় আদরের তিন বৎসর বয়স্ক একটি বন্ধু-কন্যার নিয়োগ-কাহিনী লিখিয়াছেন, তাহাও সেই করুণা ও আবেগে ভরপুর। তাহার লেখনী যেন ওটা হার অশ্রীর সঙ্গে সঙ্গে চলিতেছে ও পাঠকের চিত্ত বিগলিত করিতেছে। বিভাসাগর ও আশুতোষ উভয়েই মহাপ্রাণ ; যে হৃদয় হইতে বাল-বিধবার ইংখে তাহার সমাজ-সংস্কারের চেষ্টা আরবন্ধ হইয়াছিল, সে চক্ষু মৃত্যুর প্রাকালে সাঁওতালদেয় দুভিক্ষেয় চিত্র-স্মরণে অজস্র অঙ্ক বর্ষণ করিয়াছিল, খৃষ্টান-চালিত ফুলকলেজে হিন্দু বালকদিগের অভাব-অভিযোগ দর্শনে যে বাহু বলদৃপ্ত হইয়া নূতন শিক্ষায়তনের ভিত্তি-স্থাপনের প্রেরণা দিয়াছিল, সেই হৃদয়, সেই চক্ষু ও বাহ তাহাকে এই কর্ম্মক্ষেত্রে নিয়ত সক্রিয় রাখিয়া মনুষ্যসমাজের পুরোভাগে তাহার সিংহাসন স্থাপন উরিয়াছে। আশুতোষেরও সমস্ত কর্ম্ম, সমস্ত চিন্তা এবং জীবনের সমন্ত প্রচেষ্টার মধ্যে