পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ৩৬৩ ] . . . . রায় বাহাদুর দীনেশচন্দ্র সেনের “বৃহৎবঙ্গ” নিছক তথ্য-বিলাসী পণ্ডিতের শুষ্ক, নীরস গ্রন্থ নয়, বাঙ্গালীর এই জীবন্ত ইতিহাস সমস্ত হৃদয়ের দরদ দিয়া লেখা। জাতির বিরাটু, বিচিত্র কাহিনীর উপযুক্ত প্রকাশ-ভঙ্গাই আমরা ইহাতে পাই। যুদ্ধ-বিগ্রহ, রাজা-বাদাসাহের কাহিনী নয়, সমগ্র জাতির জীবন-ইতিহাসের সকল দিক ইহার মধ্যে প্রতিবিম্বিত। নিছক পণ্ডিতের হাতে ইহার চেয়ে নিভুল। ইতিহাস রচিত হইতে পারিত কি না, আমরা জানি না, কিন্তু এমন সরস ও জীবন্ত কখনই নয়। এ গ্রন্থ পাঠাগারের তাকে ধূলিমলিন অবস্থায় বিস্ময় জাগ্রত যে করিবে না, এ টুকু জোর করিয়া বলা যায়। এ গ্রন্থ বাঙ্গালীর হৃদয়ে স্থান পাইবার সমস্ত যোগ্যতাই লইয়া আসিয়াছে । ' এই আত্মবিস্মৃত জাতির আজ নবযুগ গড়িয়া তোলার জন্য এমনি ইতিহাসেরই গ্রয়োজন ছিল। তথ্যের কঙ্কাল নয়, সজীব সতেজ ধারা, জাতীয় জীবনের শুষ্ক সঙ্কীর্ণ প্রবাহ যাহা হইতে নূতন শক্তি সংগ্রহ করিয়া সার্থক হইবে । ছোট বড় অনেক বাহ্যিক ঘটনা আমাদের কাছে স্মরণীয় হইয়া থাকে, বাঙ্গালাব ইতিহাস প্রথম বিশদ ও সুসংলগ্নভাবে রচিত হওয়ার ঘটনা কোন দিক দিয়া কিছুর তুলনায় কম মূল্যবান নয়। ভাবী কালের ঐতিহাসিকের পথ-নির্দেশের প্রেরণাস্বরূপ এ শুভক্ষণ চিরদিন আমাদের স্মৃতিতে উজ্জল থাকা উচিত । Private Secretary to His Highness, Sir Manikya Bahadur of Tippera : —

  • * * I am desired to inform you that His Highness read your book "Brihat Banga”, recently published, with much interest and finds in the same valuable informations relating, to the History of this part of the country, which will surely help the public in gleaning things of the past.