পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

औदन-ॐङ८ङ Vot যাহা হউক, এবার সম্পূর্ণ নিরাময় হইয়া তিনি কলিকাতায় ফিরিয়া আসিবার পরেও আবার শরীর খারাপ হইল, রোজ বিকালে মাথা ধরিত । এই অবস্থায় যে তিনি পরীক্ষা দিবেন, তাহ কেহ মনেও করিতে পারেন নাই ; কিন্তু আশুতোষ জেদ করিলেন, পরীক্ষা তিনি দিবেনই। পাছে মনোভঙ্গ হইলে আশুতোষ দমিয়া যান, কিংবা তাহার দুর্বল দেহ অসোয়াস্তির দরুন কাতর হইয়া পড়ে, এই আশঙ্কায় গঙ্গা প্রসাদ সেইবারই তাহাকে পরীক্ষা দিতে অনুমতি দিলেন । পরীক্ষা-গৃহে লিখিতে লিখিতে আশুবাবুর দক্ষিণ বাহু অবশ হইয়া পড়িত। মহেন্দ্র বিদ্যানিধি লিখিয়াছেন—“পিতৃদেব পরীক্ষা-গৃহে ইলেকটিক বাটারী লইয়া উপস্থিত হইতেন । পুত্রের শরীরে ব্যাটারী সংলগ্ন করিয়া দিলে এক ঘণ্টা লেখা চলিত। তথাপি তিনি তৃতীয় হইয়া পঞ্চবিংশতি মুদ্রার বৃত্তি লাভ কবিতে সমর্থ হইলেন ।” আশুতোষ স্থূলকায় ছিলেন ; বাঙ্গলা দেশে স্কুল শরীরটা অনেক সময় * স্কোর নি। পাস বলিয়া অনুমিত হয় । আমরা বহু বৎসর আশুতোষকে কর্ম্মক্ষেত্রে এবং তঁ স্কার গৃহে দেখিয়ছি ; তখন তো তাহাকে সুস্থ বলিয়াই মনে হইতে, কখনও কখনও সামান্য সন্দি-জ্বর হইয়া দুই একদিন শয্যায় থাকিতে দেখিয়াছি। তিনি সন্দেশাদি মিষ্ট দ্রাপা খাইতে ভালবাসিতেন ; খুব প্রচুর পরিমাণে না হইলেও, যা!তাে তাহার নিতাকার আহার্য্য ছিল, তাহ রুগ্ন ব্যক্তির পথ আদৌ নহে । কিন্তু এখন মনে হয়, তাহার মূর্ত্তি হৃষ্ট-পুষ্ট থাকিলেও তােহা তাহার অসীম কর্ম্মশীল তার উপযোগী ছিল না । আপেক্ষাকৃত দুর্ব্বল কাঠামোর উপর ভাগ পান একটা বৃহৎ ও অসাধারণ বৈদুতিক যন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । তাহার কর্ম্মক্ষেত্র এরূপ বিরাট ও বিশাল ছিল এবং তাহার কর্ম্মশীলতা এরূপ প্রভঞ্জনের গতিতে সেই যন্ত্রটি পরিচালনা করিত যে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দৈহিক অস্বচ্ছন্দ্য তিনি গ্রাহ্যু করিতেন না । যখন এইরূপ অসাধারণা কর্ম্মশক্তির অধীন হইয়া মনস্বী বাক্তিরা তাহদের কর্ত্তবা-ক্ষেত্রে অগ্রসর হ’ন, তখন তাঁহাদের পক্ষে দেহকে উপেক্ষা করা কতকটা স্বাভাপিক হয়। অশুতোষ চলিয়াছিলেন ক্ষিপ্র আশ্বের গতিতে,— সে অশ্ব ‘রোসে’র অশ্ব,-"তাহার দুৰ্জয় গতিবেগ কোন বাধা গ্রাহ করে নাই । এই উৎকট কর্ম্মেব যখন প্রতিক্রিয়া আরম্ভ হয়, তখন তাহার পরিণাম হয় আকস্মিক । কর্ম্মই এইরূপ মনস্বীদের জীবন, এবং কর্ম্মের অবসানই ইতাদের