পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ꬃbም আশুতোষ-স্মৃতিকথা তখন হস্তক্ষেপ করিয়া তাহার উচ্চ আদর্শ খর্ব করিয়া ফেলিবে, ইহা কিছুতেই তিনি সহা করিতে পারেন নাই। র্তাহার সমস্ত প্রাণের দরদ দিয়া গড়া এই বিশ্ববিদ্যালয়। যদি কোন মহাচিত্রকরের হাত হইতে যখন-তখন তুলি কাড়িয়া লইয়া কোন রাজপুরুষ তাহার ধ্যান-মূর্ত্তি অঙ্কনে বাধা দেন, তবে তাহা তাহার পক্ষে যেরূপ অসহ্যু হয়, কর্তৃপক্ষের এই হস্তক্ষেপও তেঁাহার পক্ষে তেমনই মর্ম্মান্তিক হইয়াছিল ! চান্সেলারের উক্তির উপর তঁহারই গা ঘোঁসিয়া দাড়াইয়া তিনি বলিয়াছিলেন—“এলাহাবাদ-য়ুনিভার্সিটির চ্যান্সেলার স্যার হারকোর্ট বাটলার, তঁাহার বাৎসরিক বক্তৃতায় আশঙ্কা করিয়াছেন-যে কথার তিনি রেঙ্গুন-য়ুনিভার্সিটির চ্যান্সেলার রূপে পুনরুক্তি করিয়াছেন যে, বাহির হইতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে হস্তক্ষেপ করিবার একটা চেষ্টা অবিরত পিছন পিছন লাগিয়া আছে, এই চেষ্টা হইতে বিশ্ববিদ্যালয়কে সম্পূর্ণরূপে নিমুক্ত করা সম্বন্ধে তিনি অক্সফোর্ড ও কেম্বিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিশনের মতানুকীর্ত্তী। তঁহাদের মত এই যে, সরকারের এই অবৈধ হস্তক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয় কিছুতেই বরদাস্ত করিতে পরিবে না।” আশুতোষ গ্ল্যাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলার আলর্ব অধ্য রোজবারীর রহস্যপূর্ণ শ্লেষোক্তিগুলি খুব রসান দিয়া উদ্ধত করিয়াছেন। উক্ত আল বলিয়াছিলেন-“আমরা সরকার হইতে বেশী কিছু পাইব না, এমন কি তঁহাদের সাহায্য আমরা অতি অল্পই চাহিয়া থাকি। কিন্তু ‘কমলী নেহি ছোড়াতা”, সরকার প্রতিদিন আমাদিগকে র্তাহাদের উপর ভর রাখিয়া দাড়াইতে আমন্ত্রণ করেন। আমার মনে হয়, তঁহাদের অতি মৃদুভাবে উচ্চারিত কথাগুলি যেন আমাদের কর্ণমূলে প্রতিনিয়ত ধ্বনিত হইতেছে-“তোমাদের পা বেশ ভাল হইতে পারে, কিন্তু তোমরা খোড়া হও । তোমরা নিজের চক্ষে দেখিতে পাও ? তথাপি অন্ধ সাজ । তোমরা শুনিতে পাও ? কিন্তু তোমাদের কালা হইতে হইবে। বেশী সাহস দেখাইবার দরকার নাই,-এক হাত দিয়া এই পঙ্গুর লাঠিখানা ধর দেখি। যখন এই লাঠি ভর করিয়া হাটা তোমাদের অভ্যাস হইয়া যাইবে, তখন আর এক হাতের জন্য আর একখানি লাঠির দরকার হইবে,- यङ শীঘ্র এই সকল অভ্যাস হয়, ততই ভাল।” ভীষণ শক্তিশালী ব্যক্তিকেও এই ভাবে রোগীর অবস্থায় আনা যাইতে পারে। তাহাকে চামচ দিয়া