दिश्।विछiलभू-८जश S to বিভাগে কারমাইকেল চেয়ারের জন্য তিনি প্রার্থী ছিলেন,-বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা-ব্যাপারেও তিনি সময় সময় কাজ করিয়াছেন ; তথাপি আশুবাবু তঁহাকে পান নাই। কে দোষী, কে নির্দোষ, তাহার বিচার করা আমার পক্ষে প্রগলভতা । কিন্তু আমি যতটা জানিয়াছি, হরপ্রসাদ আশুবাবুর শাসন মানিয়া লইতে প্রস্তুত ছিলেন না। যে নবসংগঠিত কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আশু বাবুর এতখানি নিজের কৃত এবং যাহার পরিচালনার জন্য তিনি অহর্নিশ চিন্তা করিতেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্য্যে যিনি বাধা দিবেন বা ভিন্নরূপ মহামহোপাধ্যায় গড়ন দেওয়ার চেষ্টা করিবেন, এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়েও যাহার হরপ্রসাদ শাস্ত্রী সঙ্গে মতের গড়ামিল হইবে, এমন লোককে এই বিদ্বজনমণ্ডলীতে আন আশুবাবু নিরাপদ মনে করেন নাই। একটা বালুর কণিকা চোখে গেলে যেরূপ সমস্ত চোখটি পীড়িত ও দৃষ্টি-শক্তি ব্যথিত করে, ভিন্নতন্ত্রী এবং আরব্ধ। কার্য্যের বিস্ত্রকারী ব্যক্তি,-তিনি ক্ষুদ্রই হউন, বা বৃহৎই হউন,- আশুবাবুর পংক্তিতে ঢুকিলে তাহার দ্বারা বিভ্রাট ঘটিবার সম্ভাবনা ছিল। আশুবাবু অতি দূরদৃষ্টি-সম্পন্ন, ধীমান ও প্রবীণ ব্যক্তি ছিলেন। তিনি বিদ্বেষের দরুণ বা রাগের মাথায় কিছু করিতেন না । তাহার প্রত্যেক কােজই সুচিন্তিত ও স্থির-বুদ্ধি-প্রসূত ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠনে যে তৃণ বা খড়টির দরকার হইত, তিনি তাহাও উপেক্ষা করিতেন না, কিন্তু যদি কোন বিরাট লৌহ-স্তম্ভ বা ‘বিম’ও এই ব্যাপারে বেমানান হইত, তবে তিনি তাহা এড়াইয়া যাইতেন। যাহাকে তিনি এখানে কোন বিভাগের কর্ত্তা করিয়া আনিতে ইচ্ছা করিতেন, তঁাহার সহিত যদি সর্ব্বদা অনৈক্য ও মতদ্বৈন্ধের সম্ভাবনা থাকিত, তবে তঁাহার অন্যান্য সমস্ত গুণ সত্ত্বেও তঁাহাকে এই ভারতী-মন্দিরে আসিবার ‘পাস-পোর্ট” দিতে তিনি স্বতঃই কুষ্ঠিত হইতেন। শাস্ত্রীমহাশয় আমার পরম সহায় ও সুহৃদ ছিলেন। আমার “বঙ্গভাষা ও সাহিত্য” নামক গ্রন্থ প্রকাশিত হইবার পর তিনি যথাসাধ্য আমার সহায়তা করিয়াছিলেন। তিন-চারখানি প্রসিদ্ধ পত্রিকায় তিনি আমার পুস্তকখানির অতীব প্রশ্বংসা-সূচক, সুদীর্ঘ সমালোচনা করিয়াছিলেন, এবং আমি অসুস্থ হইয়া শয্যাগত অবস্থায় কলিকাতায় আসার পর আমাদের বাড়ীতে স্বয়ং
