পাতা:আশুতোষ স্মৃতিকথা -দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

. আশুতোষ-স্মৃতিকথা । ভয়ে আড়ষ্ট ব্যক্তিও জীবনের ভরসা ও সোয়াস্তি পাইত। হায়। আগুৰা আর কি তোমার সেই প্রীতিফুল্ল, জীবন-প্রদ, সুধা-বর্ষী কৃপা-দৃষ্টি পাইব । যিনি বিপন্নের উদ্ধার-কর্ত্তা বন্ধু, যিনি বুক হইতে শল্য উদ্ধার করিয়া পরের বাথা নিজে গ্রহণ করেন, সেই অলৌকিক সহৃদয়তা, বন্ধুত্ব ও সহানুভূতি আর কোথায় পাইব ? সিনেট-গৃহের বিপুল স্তম্ভরাশি গোলদীঘির তীরে দর্শনীয়, তদপেক্ষা উচ্চ, দ্বারভাঙ্গা-গৃহের উন্নত শীর্ষ এবং আশুতোষ বিল্ডিংএর ক্রমবিকাশমান বিরাট অবয়ব,-কিন্তু উহার , সেই ভিত্তি আজ কোথায়-যাহা লোক-প্রাণের উপর প্রতিষ্ঠিত হইয়া সেই অসামান্য সাস্তুনার বাণী প্রচার করিত,-যাহাতে ছাত্র, অধ্যাপক এবং কর্ম্মচারিগণের বক্ষ স্ফীত ছিল,—মস্তক উন্নত এবং হৃদয় নির্ভয় ছিল,-পারিবারিক দুঃখের সমস্যা,-অবিচারের ভয়, -উন্নতির বিস্ত্র,-নানা সঙ্কটের অবস্থায় র্যাহাকে অবলম্বন করিয়া মনে হইত— “ভয় নাই, প্রকাণ্ড বিটপী তলে আছি, আশ্রয় পাইব ?” আশা করি শ্রীযুক্ত শ্যামাপ্রসাদও কালে পিতৃপদাঙ্ক অনুসরণ করিয়া এই বংশগত ঔদার্য্য-গুণে প্রতিষ্ঠিত হইবেন। আশুতোষের ধর্ম্ম-বিশ্বাসই তাহাকে এরূপ লোকের প্রতি-সহানুভূতিপরায়ণ করিয়া লোক-রঞ্জনের শক্তি দিয়াছিল, কারণ, যিনি স্রষ্টাকে ভালবাসেন, সমস্ত সৃষ্ট বস্তু তঁহার অন্তরঙ্গ। এই বিশ্বাস হইতেই তাহার চরিত্রের অপুর্ব্ব সামাজিকত বিকাশ পাইয়াছিল। যে কেহ তাহাকে ডাকিত, যত ক্ষুদ্র ব্যক্তিই সে হউক না কেন, যত সামান্য আয়োজন দিয়াই সে তাহার প্রাণের দেবতাকে আহবান করুক না কেন, আশুবাবু বিদুরের ক্ষুদের লোভেও তাহার বাড়ীতে যাইতেন। একজন সোফারের বাড়ীতে খাওয়ার পরই তঁহার মৃত্যুরোগ উপস্থিত হইয়াছিল। তিনি নিজে লোকজনকে খাওয়াইতে ভাল বাসিতেন, অপরকে নিজের বাড়ীতে খাত্তয়াইয়া তৃপ্ত হইতেন। যে কেহ নিমন্ত্রণ یا २ाङ्ग्रेम्ना ७ •თ. খাইবা করিয়াছে, তিনি তাহার বাড়ীতে যাইয়া আসন পাতিয়া খাইতে বসিয়া গিয়াছেন। তঁহার জ্যেষ্ঠ পুত্র রমাপ্রসাদ ছৎমাৰ্গাবলম্বী হইয়া সেই স্থানে অনাহারে বসিয়া নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতেন, আশুবাবু তৃপ্তির সহিত খাইতে থাকিতেন । পিতা-পুত্রের প্রকৃতির এই বৈষম্যদর্শনে বেদান্তের সেই দুইটি পাখীর কথা মনে পড়িত, যাহাদের একজন খায়