পাতা:আশু সম্বিদ্দায়িনী.pdf/২২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশু সন্ধিদায়িনী । ২১৩ বাক্যদ্বারা বিলাপ করিতে আরম্ভ করিলেন । যথা হে জীবিতেশ্বর ! তুমি অধিনীকে পরিত্যাগ করিয়া কোথায় রহিলে ? এবম্বিধ করুণ রসাভিষিক্ত স্বরে সম্বোধন করিয়া পুনর্ব্বিহ্বল হওতঃ পৃথিবী আলিঙ্গনে ধূল্যবলুণ্ঠন ধুপরস্তনী ও আলুলায়িত কেশী রাজ্ঞী, সকল পুরজনে সমদুঃখে দুঃখিত করিয়া বিলাপ করিতে লাগিলেন । হে নাথ ! তোমার যে ৰূপাতিশয্যশালিমূর্ত্তি বিলাসিগণের উপমা স্থল স্বৰূপ ছিল; সেই শরীর বিগতাসু হইয়া অধুনা অরণ্য মধ্যে পতিত রহিয়াছে। হা ঈদৃশ । অকল্যাণকর বার্ত্ত শ্রবণ করিয়াও এখন আমার হৃদয় বিদীর্ণ হইল না ? বোধ হয়, স্ত্রীলোকের হৃদয় পাষাণপেক্ষাও কঠিন। আহে । আশ্রিত নলিনীদল পরিত্যাগ করণান্তর ভগ্নসেতু স্রোতবাহি জল সমূহের ন্যায়, প্রেমনীরস্থ সৌহৃদ্য সেতু ক্ষত করিয়া ত্বদায়ত্ত জীবিত ক্ষণপ্রভায় পরিত্যাগ পুরঃসর কোথায় পলায়ন করিলে ? হে প্রিয় ! আমি কর্তৃক কখনত তব সম্বন্ধে কোন প্রতিকুলাচরিত হয় নাই, তবে কেন প্রেমাধানীকে বিমুখ হইলে ? বোধ হয়, নিতম্ব ভূষণে বন্ধন স্মরণ, অথবা, কর্ণাবতংস উৎপল করণক তাড়ন বোধে পলায়ন করিলে ? নাথ ! পূর্বে বলিতে তুমি আমার হৃদয়লাসিনী ; বোধ হয়, য়ে কেবল মদীয় মনোরঞ্জনার্থ চাতুরিবাক্য মাত্র প্রয়োগ করতে, নচেৎ তুমি মৃত ও ক্ষণপ্রভা জীবিত রহিল কেন?