পাতা:আশু সম্বিদ্দায়িনী.pdf/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশু সন্ধিদায়িনী { २35 পর্য্যন্ত সবিশেষ বৃত্তান্ত বর্ণনা করিলেন । প্রিয়তম৷ মুখান্তোজ ক্ষরিত বাকা-পীযুষরাশি শ্রবণরন্ধে পান করিয়া নরনাথ প্রথমতঃ আশ্চর্য্যাম্বিত হইয়। পরে অত্যন্ত বুভুৎস্থ হওতঃ রাজ্ঞীকে জিজ্ঞাসা করিলেন। প্রাণাধিকে ? সেই তপোধন এক্ষণে কোথায় গমন করিলেন । এ হতভাগ্যের প্রতি কি সদয় হইয়া পুনঃ দশন দিয়া চরিতার্থ করিবেন না ? ক্ষণপ্রভ কহিলেন নাথ ! অপমাদিগের অগ্রগামী সেই যোগিলর, আমরা এই অরণ্যমধ্যে আসিয়া সমবেত হইলে, তিনি এককালে দৃষ্টিপথের বর্হিভূত হইয়া, যে, কোথায় অন্তহিত হইলেন ; তাছার কিছুমাত্র নিণয় করিতে পারিলাম না । এবং কি আশ্চর্য্য ! সেই মহাত্মা অন্তর্কিত হইবামাত্র তাহার প্রদত্ত ব্যোমযানও ক্ষণকাল মধ্যে কোথায় প্রলীন হইল তাহীও নিশ্চয় করিতে পাবিলাম না । বোধ হয়, সেই অসীম প্রভাবশালি মহর্ষির অনুবর্ত্তি হইয়া থাকিবে । আহা ! 'নচদৈবাৎ পরংবলং” এই যে শাস্ত্র সম্মত মহাজন কথিত বাক্য অদ্য প্রত্যক্ষৰূপে সপ্রমাণ হইল ; অতএব হে প্রিয়তম : দৈবামুরোধ হেতু, এবং নিতান্ত আপনার বশম্বদা চরণত্রিত কামিনীর অনুনয় রক্ষা, গন্ধর্ব্বরাজ গোলকনাথের সম্মান রক্ষ, ভবদীয় প্রেমাকাক্তিক্ষনী ত্রিপুরার প্রাণরক্ষা, এবং অপত্য স্নেহভাজন শিষ্য সুদীনের শিষ্যত্ব গৌরব রক্ষা