আশু সন্ধিদায়িনী ! 83 ণেচ্ছ হইয়া,আমি, জননীর সহিত পরীবাহ সিংহাসনাৰূঢ় হইয়া ভ্রমণ করিতে করিতে একচিত্ত প্রফুল্লদ আরাম ঈক্ষণে, সেই স্থানে বিরাম করণার্থ সিংহাসন হইতে অবতীর্ণ হইলাম ; এবং সেই মনোরম আরাম মধ্যে, প্রবেশ করিয়া দেখিলাম, বাসন্তী কুসুম বিকসিত সৌরভাকুল মধুপকুল, মধুলোভে মওত প্রযুক্ত প্রফুলিত প্রস্থনচয় পরিত্যাগ করিয়া মুকুমার কুটুম্লল মধ্যে প্রবেশ মানসে সাতিশয় বল প্রকাশ করিতেছে । আহ ! সিতপক্ষ শর্ব্বরী সময়ে শীত রশ্মির শীত রশ্মিতে ভূধরের শিখর দেশের ন্যায় রম্যহম্ম্য প্রপূরিত সেই প্রাসাদের কিবা অবর্ণিতব্য শোভা নির্যাত হইয়া থাকে, বোধ হয় কুসুম ধম্বা, বিরহি জনগণকে অলক্ষ সন্ধান মানসে সেই বিজন বিপিন মধ্যে, ধনুপাণি ইয়। ৰিরাজ করিয়া থাকেন । যদিচ আমি তৎকালে পুরুষ প্রণয় রসে অনভিজ্ঞ ছিলাম, কিন্তু সেই দুরন্ত রতিকান্তু আমাকে একান্তে পাইয় প্রথমতঃ আমারই হৃদয় । দেশে অমোঘ শরের সন্ধান করিল | হে মহাভাগ । লোকাজেয় কুন্তম বাণাসনের কুসুমশরে সংবিদ্ধ হইয়া দুবদগ্ধ ব্যাকুল মৃগীকুলের ন্যায় সেই উদ্যানস্থ প্রফুল্লিত প্রসুন নিচয়ের পরিমল আব্রাণে, মনে এক অনির্ব্বচনীয় ভাবের উদয়ে অধীরা হইয়। আক্রীড়ু মধ্যে ইতস্ততঃ বিচরণ করিতে লাগিলাম ; এবং ক্রমে অন্তঃ
