পাতা:আশু সম্বিদ্দায়িনী.pdf/৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আশু সন্ধিদায়িনী । ඇෆ নয়নহীন হইয়াছেন। এবং প্রায় সর্ব্বক্ষণ হাঃ ক্ষণ প্রভে ৷ ইত্যাকার নামোচ্চরণ পূর্ব্বক সর্ব্বদা দীর্ঘ নিশ্বাস পরিত্যাগ করিয়া থাকেন। কোন কোন সময়ে রোদন করিতে করিতে মৃচ্ছ প্রাপ্তও হইয়। থাকেন। তাহার এই মহারোগ মোচনার্থ মহারাজ, অনেক বৈদ্যাদি নিয়োজিত করিয়া দিয়াছেন; কিন্তু এ পর্য্যন্ত তাহাতে কোন উপকার দশিতেছে না । জননী এতাদৃশ প্রবল পীড়াক্রান্ত হইয়া কালাতিবাহিত করিতেছেন শ্রবণ করিয়া মাতৃ স্নেহ স্মরণপূর্ব্বক বহুবিধ বিলাপ করিলাম ও পরে জিজ্ঞাসা করিলাম। সখি ! এক্ষণে তোমরা উভয়ে কোথায় গমন করিয়াছিলে বল ? আমার এই বাক্য শ্রবণে, সখিস্বয়, লজ্জা নম্ৰমুখী হইয়া কহিলেক, প্রিয়তমে ! তোমার মানবে স্বামীত্ববরণ শ্রবণ করিয়৷ সেই মহাত্মাকে দর্শনার্থে এবং বিধি প্রতিকুলে তোমার জীবনে জীবন বিস্তুষ্ট হইয়াছে এই অশিব সমাচার শ্রবণ করিয়া তদ্বিষয় নিশ্চয় করণার্থ উভয়ে সকলের অজ্ঞাতসারে রাজভবন হইতে বহির্গত হইয়। অনেকানেক মর্ত্য রাজ্য ভ্রমণ করিলাম । কিন্তু অজ্ঞাত বিধায় কোন স্থানেই কোন লক্ষণ দ্বারা সেই মহানুভব পুরুষ রত্নকে লক্ষ্য করিতে পারিলাম না। এবং ত্বদীয় অকুশল সংবাদের কোন নির্ণয় করিতে না পারিয়া, শেষে “স্বরাজ্যে, প্রতিগমন করিতে ছিলাম, ইতোমধ্যে