পাতা:আসছে ফাল্গুনে - ভুপেশ আইচ.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যাও, নীচুমে দেউড়িকাপর খাড়ারহো,—কোই আনেসে পিঠ দেখ লাও । এই সাই ;—যাও । (গিরি সিংএর প্রস্থান) হরি—এইবার একখানা গান গাও ত মল্লারকণ্ঠ মালকোষ । গানের তালে তালে ব্রাস ঘ'ষলে জেল্লা খুলবে জুতোর । তুমি কি ভাল গাও, মেঘমল্লার না মালকোষ ? মাল—গজল আর ভাটিয়ালী আমি গাই । ও সব আমার গলায় আসে না বলে ওগুলোকে নামের সঙ্গে জড়িয়ে রেখেছি— হরি—যেমন কাণ ছেলের নাম পদ্মলোচন । তা বাবা, যা পারে, ঐ গজলই একখানা গাও,— (গীতমধ্যে প্রস্থান) (জুতা ব্রাস করিতে করিতে মালকোষের গান) ভাবনা কি বল ? ওরে পাগল, জোরসে ঘসে বুরুসখানি, জেল্লা ফুটাও,—কেল্লা ফতে হবে রে তোর, হবেই জানি । ঘষ ছি জুতো কিসের আশায় বুঝছে। নাকি শ্বশুর মশায়, এর চেয়ে কি স্পষ্ট ভাষায় যায় গো বলা মনের বাণী ? বিহান থেকে রাত্রি দুপুর আমরা ক’টা হাংলা কুকুর সব খুইয়ে ঘুরছি কেবল আসার আশায় তোমার খুকুর ; বঁটা লাথি মার গু"তে খাই তবুও এসে গান যে শেখাই, নিত্যি এসে হাজ রে লেখাই,—দেখ দেখি কী হয়রাণি । (তরুণের সদস্তে প্রবেশ) তরুণ—“তুচ্ছ তুমি দারোয়ান গেরুলাস সিং, তুমি কি রোধিতে পার প্রাণের মিটিং ? ●ጫ