পাতা:ইংরেজের জয় - বিহারিলাল সরকার.pdf/১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
আরকট-অবরোধ।

বারে নিযুক্ত ছিলেন। তাঁহার দ্বিতীয় পুত্র নাসির জঙ্গ সবলে পিতৃ-সিংহাসন অধিকার করিয়া ছিলেন।[১] তাঁহার ভাগিনেয় মুজঃফর জঙ্গ দাক্ষিণাত্যের সিংহাসন-লালসায় তাঁহার ঘোর প্রতিদ্বন্দ্বী হইয়াছিলেন। কর্ণাট রাজ্য নিজাম রাজ্যের অধীন বটে; কিন্তু এ কর্ণাট রাজ্যও নিরুদ্বিগ্ন ছিল না। নিজাম-উল্-মুল্ক জীবিতাবস্থায় আনর-উদ্দীন নামক এক ব্যক্তিকে কর্ণাটের নবাব-পদে অভিষিক্ত করিয়া গিয়াছিলেন।[২] আনর-উদ্দীনেরও এক জন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন। তাঁহার নাম চাঁদ সাহেব।


  1. নাসির জঙ্গকে ইংরেজ সাহায্য করিয়াছিলেন। এই জন্য কি, অন্য কোন কারণে বলিতে পারি না, মেকলে লিখিয়াছেন,—“নাসির জঙ্গই নিজাম-সিংহাসনের প্রকৃত অধিকারী”। কিন্তু প্রকৃত কথা তাহা নহে; নাসির জঙ্গ লম্পট ও দুশ্চরিত্র ছিলেন। এই জন্যই নিজাম-উল-মুল্ক দৌহিত্র মুজঃফর জঙ্গকে সিংহাসন দিবার সঙ্কল্প করিয়াছিলেন।
  2. এরূপ শাসকনিয়োগ করিবার ক্ষমতা অবশ্য নিজামের পূর্ব্বে ছিল না। নিজাম দিল্লীশ্বরের অধীন ছিলেন। কর্ণাট নিজামের অধীন বটে; কিন্তু তাহার 'শাসকনিয়োগ করিবার ভার দিল্লীশ্বর তখনও ত্যাগ করেন নাই। আরেপ্লিবের মৃত্যুর পর দিল্লীসাম্রাজ্যের অধঃপতনের সুত্রপাত হয়। ইহার পর শাসনশক্তি একবারে শিথিল হইয়াছিল। এই অবসরে নিজাম-উল-যুগ্ধ স্বয়ং স্বাধীন হইয়া পড়েন। তিনি কর্ণাটের শাসক নিয়োগের ভার নিজ হস্তে লইয়াছিলেন।