গমন করিয়া, সর্ব্বশেষে মোকামা-ষ্টেশনে উহার অনুসন্ধান পাইয়াছিলাম; কিন্তু সে স্থান হইতে সে কোন্দিকে চলিয়া গিয়াছিল, তাহা ঠিক করিতে না পারিয়া, আমি প্রত্যাগমন করি। ওয়ার্ণারের নামে ওয়ারেণ্ট বাহির হইয়াছিল, কিন্তু অনেক দিবস পর্য্যন্ত সে ধৃত হয় নাই।
এই ঘটনার প্রায় বৎসরাধিক পরে একটী কয়েদী লইয়া একজন ইংরাজ-কর্ম্মচারীকে রেঙ্গুন গমন করিতে হয়। তিনি ওয়ার্ণারকে চিনিতেন, সেইস্থানে তিনি উহাকে দেখিতে পান। ওয়ার্ণার একটী চাকরী যোগাড় করিয়া লইয়া এতদিন সেইস্থানেই ছিলেন। ইংরাজ পুলিস-কর্ম্মচারী কলিকাতায় প্রত্যাগমন করিয়া আপন ঊর্দ্ধতন-কর্ম্মচারীকে সেই সংবাদ প্রদান করেন। এই সংবাদের উপর নির্ভর করিয়া ওয়ারেণ্ট সহ একজন ইংরাজ-কর্ম্মচারীকে সেইস্থানে পাঠান হয়, তিনি সেইস্থানে গমন পূর্বক উহাকে ধৃত করিয়া কলিকাতায় আনয়ন করেন। কলিকাতার সেসন-কোর্টে সেই মোকদ্দমার বিচার হয়। বিচারে ওয়ার্ণার অপরাধী সাব্যস্ত হয়, ও কঠিন পরিশ্রমের সহিত তাহার চারি বৎসরের মেয়াদ হয়। ওয়ার্ণার তদবধি হরিণ-বাড়ীর জেলেই আবদ্ধ থাকে।