মুখ হইতে কোন কথা বাহির করে। কিন্তু যদি দেখিল, মালসমেত ধরা পড়িয়াছি—বাঁচিবার কোন উপায় নাই, তখন সে কোন কথা গোপন করিবে না—সকল কথা স্পষ্ট করিয়া বলিয়া দিবে।
হিলি যে সকল চুরি করিয়াছিল, তাহা সমস্ত স্বীকার করিল, এবং সেই বাড়ীর নানাস্থান হইতে দ্রব্যাদি বাহির করিয়া দিল। এ পর্যন্ত যত চুরি হইয়াছিল, তাহার সমস্ত দ্রব্যই প্রায় পাওয়া গেল; কেবল বাকি থাকিল—চেনগুলি। চেনের কথা জিজ্ঞাসা করায়, পরিশেষে হিলি তাহাও স্বীকার করিল, এবং একটী বাজ্নার বাক্সের (পিয়োনোর) ভিতর হইতে ৩২ ছড়া সোণার চেন বাহির করিয়া দিল।
হিলির নামে অনেক চুরির নালিস হইল। মাজিষ্ট্রেটের কোর্টেও হিলি কোন কথা অস্বীকার করিল না, মাজিষ্ট্রেট সাহেব উহাকে দায়রায় পাঠাইয়া দিলেন। সেখানেও হিলি সমস্ত দোষ স্বীকার করিয়া লওয়ায়, জজ ও জুরির দয়া হইল। ১৮৮৮ সালের আগষ্ট মাসে হিলি তিন বৎসরের নিমিত্ত কঠিন পরিশ্রমের সহিত কারাগারে প্রেরিত হইল। হিলি ও হরিণ-বাড়ীর জেলে আবদ্ধ রহিল।