কথাতেই আমাদিগের সহিত সেই পলাতক কয়েদী সম্বন্ধে গল্প করিতেছিলেন। হিলি কিরূপ বলশালী, কিরূপ চতুর, এবং কিরূপ দুর্বৃত্ত, তাহাই আমাদিগকে বুঝাইতেছিলেন। আরও বুঝাইতেছিলেন যে, তিনি বিশেষরূপে অবগত হইয়াছেন যে, হিলি ও ওয়ার্ণার পিস্তল সঙ্গে লইয়া জেল হইতে বহির্গত হইয়াছে।
দিবা এগারটার সময় উক্ত মাল-গাড়ির গার্ড পামর সাহেব আসিয়া আমাদিগের সহিত যোগ দিলেন। তিনি আগমন করায় আমাদিগের গল্প ভঙ্গ হইল। পামর সাহেব কহিলেন, “আমি যখন মাল-গাড়ি লইয়া আসিতেছিলাম, সেই সময়ে বৈঁচি ও দেবিপুর ষ্টেশনের মধ্যে দুইজন ইংরাজকে পদব্রজে আসিতে দেখিয়াছি। আমার বোধ হয়, আপনারা সেই দুই ব্যক্তিরই অনুসন্ধান করিতেছেন।”
পামরের কথা শুনিয়া আমরা আর স্থির থাকিতে পারিলাম; তিনজনেই তখন এক হইয়া এই পরামর্শ করিলাম যে, আমরা মেমারি ষ্টেশনে অবতরণ পূর্ব্বক পদব্রজে পূর্ব্বকথিত ষ্টেশন দ্বয় অভিমুখে গমন করিব। তাহা হইলে সেই দুই ব্যক্তিকে নিশ্চয় পথের উপরেই পাইব।