এ আসনসোল ষ্টেশন নহে, এ মেমারি। সাহেবদ্বয় আমার কথায় কর্ণপাত না করিয়া, বাজারের দিকে বাহির হইয়া গেল। কিন্তু তাহার পর যে কোথায় গমন করিল, তাহা বলিতে পারি না। ইহাদের মধ্যে একজনের টুপি ছিল না।”
রজনীনাথের কথা শ্রীরামপুর ষ্টেশন মাষ্টারের কথার সহিত মিলিল দেখিয়া, আমি বাজারের দিকে গমন করিলাম।
বাজারের দোকানদারদিগকে জিজ্ঞাসা করিয়া ক্রমে জানিতে পারিলাম যে, সাহেবদ্বয় সেই স্থানের সরাবের দোকান অভিমুখে গমন করিয়াছিল। সরাবের দোকানে গিয়া জানিতে পারিলাম যে, ৬ই তারিখে দুইজন সাহেব তাহাদের দোকানে গমন করিয়া অতি সামান্য পরিমাণে মদ্যপান করে, এবং তাহার মূল্যের দরুণ একথানি দশ টাকার নিতান্ত জীর্ণ ও মলিন নোট প্রদানপূর্ব্বক অবশিষ্ট টাকা লইয়া প্রস্থান করে। কিন্তু কোথায় যে গমন করে, তাহা তাহারা বলিতে পারিল না। সেই দোকান হইতে তখন পুনরায় বাজারে প্রত্যাগমন করিলাম। সেইস্থানে কতকগুলি মুটিয়া বসিয়াছিল, তাহাদের মধ্যে একজন কহিল, “আজ তিনদিবস হইল, বেলা এগারটার সময় আমি দুইজন সাহেবকে সিউচরণ বাদীর গরুর গাড়িতে চক্দীঘির পথে গমন করিতে দেখিয়াছি।” অনুসন্ধানে জানিতে পারিলাম, সিউচরণের বাসস্থান মেমারি হইতে প্রায় দুই মাইল ব্যবহিত। এই সকল সংবাদ সংগ্রহ করিতে প্রায় দিবা একটা বাজিয়া গেল, সেই সময় আমার অতিশয় ক্ষুধাবোধ হইতে লাগিল। স্নান আহ্নিক করিবার অবকাশ আর হইল না। মনে মনে ঈশ্বরকে স্মরণ করিয়া সেই বাজারের