কার্য্যের অনুরোধে এইস্থানে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছি। কিন্তু এখন দেখিতেছি, আপনাদিগের সাহায্যের বিশেষ প্রয়োজন হইতেছে; কারণ, এ প্রদেশের রাস্তা, ঘাট এবং গ্রামাদি আমরা অবগত নহি। এই নিমিত্ত আপনাকে লেখা যাইতেছে যে, আপনি পত্র পাঠমাত্র যে পুরাতন কর্ম্মচারী, এই প্রদেশের সমস্ত উত্তমরূপে অবগত আছেন, তাঁহাকে আমাদিগের সাহায্যের নিমিত্ত পাঠাইয়া দিবেন। সবিশেষ প্রয়োজনীয় সরকারী কার্য্য—কোনরূপে বিলম্ব না হয় জানিবেন। ইতি ৮ই মার্চ, ১৮৮৯।”
চৌকীদার আমার পত্র লইয়া প্রস্থান করিলে, হাবিৎ সাহেব আমার নিকট আসিলেন, এবং কহিলেন, “তুমি এখন কি করিতে চাও? তোমার কি ইচ্ছা যে, এই স্থানে চুপ করিয়া বসিয়া থাকিয়াই রাত্রি অতিবাহিত করিবে?” উত্তরে আমি কহিলাম, “সাহেব! আমি যাহা করিতে চাই, তাহা পরে দেখিবে। তোমরা যাহা করিতে চাহ, তাহা করিতে পার। আমি তোমাদিগের সহিত এইরূপ কলহ করিতে করিতে গমনের প্রার্থনা করি না। আমি এ প্রদেশ একে চিনি না, তাহাতে রাত্রিকাল, কোথায় যাইতে কোথা যাইব, তাহা ঠিক করিতে পারিতেছি না। আমি সেইজন্য নিকটবর্ত্তী থানায় পত্র লিখিয়াছি। সেইস্থান হইতে কোন লোক আসিলে, তাহাকে সঙ্গে লইয়া আমি বহির্গত হইব। ইহাতে তোমাদের ইচ্ছা হয়, আমার অপেক্ষায় থাকিতে পার; ইচ্ছা না হয়, গমন করিতে পার। আমার কোনও আপত্তি নাই।” এই বলিয়া আমি চুপ করিলাম। বুঝিলাম,