পাতা:ইংলণ্ডের ইতিহাস.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পোপের প্রাদুর্ভাব।
২৭

কোন শক্তিই নাই। যদি কোন যাজক কোন দুষ্কর্ম্ম করে, রাজা তাহার শাসন করিতে পারিবেন না। বস্তুতঃ যাজক সম্বন্ধীয় কি ‘মাল্’ কি ‘ফৌজ‍্দারী’ কোন প্রকার মোকদ্দমতেই রাজার কোন হাত নাই। সেই সকল মোকদ্দমা পোপের নিযুক্ত বিচারপতিদিগের নিকটেই নিষ্পন্ন হইতে পারে। হন‍রী দেখিলেন যে, ইহা হইলে পোপ‍্ই তাঁহার রাজ্যের রাজা হইয়া উঠেন। অতএব যাহাতে ইহা না হইতে পারে, নিরন্তর এই চিন্তা এবং চেষ্টা করিতে লাগিলেন। ‘বেকেট‍্’ নানা একটু সামান্য বংশোদ্ভব, কিন্তু অতি বিচক্ষণ এবং প্রগাঢ় বিদায়নি কোন ব্যক্তি রাজার পক্ষ হইয়া, এই বিষয়ে অনেক তর্ক করিয় ছিলেন। হনরী তাহার প্রতি তুষ্ট হইয়া কাণ্টরবুরীর আর্চ-বিশপের"*[১] পদ শূন্য হইলে বেকেট‍্কে সেই পদে অধিরূঢ় করিলেন। কিন্তু বেকেট‍্ স্বয়ং ইংলণ্ডের প্রধান যাজক হইয়া আর পূর্ব্বরূপ রহিলেন না। পূর্ব্বে রাজার তোষামোদ এবং বাবুয়ানা করিয়া বেড়াইতেন। এক্ষণে একেবারে ধার্ম্মিকচুড়ামণি ও পরম তপস্বী হইয়া বসিলেন।

  1. *ইংলণ্ডের যাযকশ্রেণীর সর্ব্বোচ্চপদ প্রাপ্ত ব্যক্তি আর্চবিশপ উপাধি গ্রহণ করিয়া থাকেন। ইংলণ্ডের আর্চবিশপ দুইজন, একজন ইয়র্ক নগরে অপর ব্যক্তি কেণ্টপ্রদেশীয় প্রধান নগর কাণ্টরবুরীতে অবস্থিতি করেন। এতদ্দুভয়ের মধ্যে শেষোক্ত ব্যক্তি শ্রেষ্ঠতর।