পাতা:ইংলণ্ডের ডায়েরি - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বিশ্বাসের বেষ্টন নহে। মানুষের সব চেয়ে প্রবল অতিমান ষে ক্ষমতাভিমান, সেই অভিমান তাহার সঙ্গে জড়িত। এই অভিমান লইয়া পৃথিবীতে কত ঈৰ্ষা-দ্বেষ, কত যুদ্ধ-বিগ্রহ। ব্রাহ্মণের সেই প্রভূত সামাজিক ক্ষমতা, সেই অভ্রভেদী বর্ণাভিমানের প্রাচীরে বেষ্টিত থাকিয়াও তাহার আত্মা আপনার স্বভাবের প্রেরণাতেই সমস্ত নিষেধ ও প্রলোভন বিদীর্ণ করিয়া মুক্তির অভিমুখে ধাবিত হইয়াছিল। “তিমসে মা জ্যোতিৰ্গময় -এই প্রার্থনাটি তিনি শাস্ত্র হইতে পান নাই, বুদ্ধি বিচার হইতে পান নাই ; ইহা তাহার জীবনী-শক্তিরই কেন্দ্রে নিহিত ছিল; এই জন্য র্তাহার সমস্ত জীবনের বিকাশই এই প্রার্থনার ব্যাখ্যা । * * * শিবনাথের প্রকৃতির একটি লক্ষণ বিশেষ করিয়া চোখে পড়ে, সেটি তাহার প্রবল মানব-বাৎসল্য। অথচ এই তার মানব-বাৎসল্য প্রবল থাকা সত্ত্বেও সত্যের অনুরোধে তঁহাকেই পদে পদে মানুষকে আঘাত করিতে হইয়াছে। আত্মীয়-পরিজন ও সমাজকে ত আঘাত করিয়াইছেন, তাহার পরে ব্রাহ্মসমাজে যাহাদের চরিত্রে তিনি আকৃষ্ট হইয়াছেন, যাহাদের প্রতি ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা ও শ্রীতি তাহার বিশেষ প্রবল ছিল, তাহদের বিরুদ্ধেও বরাবর তঁহাকে কঠোর সংগ্রাম করিতে হইয়াছে। মানুষের প্রতি র্তাহার ভালবাসা, সত্যের tBB DDDBB DDDBD DBDD DBBD DBDBBB BBB D SS DB iDB DDD জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন, তাহ মানব-প্রেমের রসে কোমল ও শ্যামল ; আর যে আকাশে তিনি তাহাকে বিস্তীর্ণ করিয়াছিলেন, তাহা সত্যের জ্যোতিতে দীপ্যমান ও কল্যাণের শক্তি-প্রবাহে সমীরীতি।” কেবল “ভারত সভা’ সংগঠনের মধ্যেই তঁহার দেশপ্রেম সীমাবদ্ধ ছিল না। স্বদেশী আন্দোলনের বহুপূর্বে বিবিধ কবিতা, প্রবন্ধ এবং বক্তৃতাদির দ্বারা তিনি দেশবাসীকে উদ্বন্ধ করিয়াছিলেন। তঁহার নির্ভীক স্বদেশ-প্রেমের কথা বর্তমান কালে অনেকেই বোধ হয় জানেন না। লর্ড কার্জনের শাসনকালে ‘বঙ্গভঙ্গ’ আদেশের বিরুদ্ধে এতদ্দেশে স্বদেশী আন্দোলনের যে প্রবল বন্যা প্রবাহিত হয়, বিদেশী শাসক তাহাতে শঙ্কান্বিত হইয়া কঠোর হন্তে উহার দমনে প্রয়াসী হন। SS