পাতা:ইংলণ্ডের ডায়েরি - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা অধীনতার অভিশাপে সন্তপ্ত, মনুষ্য জীবনের লক্ষ্য হইতে ভ্রষ্ট, ভারতবাসীর জীবনে নূতন পথে চলার প্রবৃত্তি জাগাইবার সাধনায় রাজা রামমোহন DB DD DBDBDLDD SDDDDS YB SBBBDS BBBDBD SDD MBBD ধর্মপ্রবর্তক হইলেও তঁহার সাধন-ধারা এদেশের চিরাচরিত সাধনধারা হইতে স্বতন্ত্র ছিল। সেই স্বাতন্ত্র্যের স্বরূপটি না বুঝিলে যেমন তঁহাকে ঠিক জানা হয় না, তেমনই তিনি যে-হোমাগ্নি ভারতের কল্যাণের জন্য জালিয়া গিয়াছিলেন, সেই অনির্বাণ শিখা হইতে আপন প্রাণের প্রদীপটিকে জালাইয়া উনবিংশ-শতকে মনীষার দু্যতিতে সমুজ্জল যে সমস্ত স্মরণীয় ও বরণীয় নেতারা ভারতবাসীকে এবং বিশেষভাবে বাঙ্গালীজাতিকে গৌরব-মণ্ডিত করিয়াছেন, তাহদেরও স্বরূপটি অচেনা থাকিয়া যাইবে । এই ডায়েরীর লেখক আচার্য শিবনাথ শাস্ত্রী সেই রামমোহনের ভাবধারার অন্যতম ধারক ও বাহক । সেজন্য তঁহাকে এবং তঁহার অন্তরের গোপনতম বাসনা-যাহা অতি মৰ্মস্পর্শী ভাষায় এই ডায়েরীতে প্রকাশ পাইয়াছেবুঝিতে হইলে রামমোহনের সেই সাধনধারাটি সম্যক উপলব্ধি করা প্রয়োজন। মনুষ্যসমাজ হইতে বিচ্ছিন্ন, মানুষের সুখ-দুঃখকে উপেক্ষা করিয়া নিজের ব্যক্তিগত মুক্তি-সাধনা ও ঈশ্বর সান্নিধ্য লাভ প্রচেষ্টাই ছিল ভারতের প্রাচীন ধারার বিশেষত্ব ; রামমোহনের ধর্মসাধনার স্বাতন্ত্র্য এই যে, এই সাধনধারায় ঈশ্বরের প্রতি গ্রীতির মূল্যায়ন তঁহার প্রিয় কার্য সাধনের উপর নির্ভরশীল। এই সাধনা মানব-প্রেমরসে কোমল ও শ্যামল, এবং তাহা সত্যের জ্যোতিতে অন্তরে উদ্ভাসিত হইয়া জন-কল্যাণের শক্তিপ্রবাহে বহমান। তিনি সুস্পষ্ট ভাষায় বলিয়াছেন যে, পরমেশ্বরের সেবক হইবার সর্বোত্তম উপায় হুইল মানবের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা । তাই বেদান্তবাদী হইয়াও রামমোহন ভারতীকল্যাণের তথা বিশ্বকল্যাণের বহুধা কর্মে নিজেকে নিয়োজিত করিয়া বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ ধর্ম-ও কর্মবীর হইতে পারিয়াছিলেন। | So