পাতা:ইংলণ্ড দেশে ধর্ম্মাৰুণোদয়.pdf/৩৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> १ আমাদের ইহকালীন জীবদ্দশার সদৃশ, আর ঐ মহাসাগর পরকালের তুল্য,এইটী ক্রমাগত বহিয়া যাইতেছে, ঐটা নিত্যস্থায়ী । এই ছোট স্রোতের উপর দিয়া স্বচ্ছন্দে হাটিয়া ইহা পার হইতে পারি, কিন্তু মহাসাগরের গভীরতা কে পরিমাণ করিতে পারে ? ইমোজিন ঈশ্বরকৃত উক্ত সকল সেীদর্ঘ্য অবলোকন করত আরো ভাবিল, ঈশ্বর যে প্রেমস্বৰূপ, ঐ বিদেশির এই কথাটী নিতান্ত সত্য, দেখ, সকল বস্তু তাহার প্রমাণ দিতেছে । তেজোময় সূর্য্য ও নির্ম্মলা নদী ও নানা বর্ণের পুষ্প, এই সকল আমাদের কর্ণকুহরে কহিতেছে, আমাদের সৃষ্টিকর্ত্তা প্রেমস্বৰূপ । পরে দেথিতে ২ একটা বৃহৎ বনবৃক্ষের উপর দৃষ্টি পড়িলে ইমোজিন দীর্ঘ নিশ্বাস ত্যাগ করিল, কারণ সে জানিল, যে ঐ গাছতলায় আমার মায়ের কবর আছে, আর ঐ গাছের গোড়ায় পূৰ্বোক্ত দীনহীন বিদেশী বাধা আছে । অনন্তর সে মনের মধ্যে তর্ক করিতে লাগিল, এইটী .কেমন হইল ? ঈশ্বর যদি প্রেমস্বৰূপ হন, তবে এত বেদন পীড়াদি দুঃখ কোথাহইতে জন্মপাইল ? এই পৃথিবী অতি সুশোভিতা বটে, 4).