মোরে বাড়ি কিনে দেবে, মোরে ভালোমন্দ খেতি দেবে-
—দিইছিল?
—মোরে গিয়ে ধরে আনলে বাবা। কখন মোরে দেবে?
—আচ্ছা ভালোমন্দ খাবি তুই, থাক আমার বাড়ি। থাকবি?
—না।
—কেন রে?
—মোর মন কেমন করবে।
—কার জন্যি? বাবাকে ছেড়ে তো গিইছিলি। সৎমা বাড়িতি। কার জন্যি মন কেমন করবে রে?
কুসুম নিরুত্তর।
ওর বাবা শাম বাগ্দি এতক্ষণ দেওয়ান রাজারামের সামনে সমীহ করে চুপ করে ছিল, এইবার এগিয়ে এসে বললে-মুই বলি শুনুন কর্তাবাবু। আমার এ পক্ষের ছোট ছেলেটা ওর বড় ন্যাওটো। তারি জন্যি ওর মন কেমন করে বলচে।
—তাই যদি হবে, তবে তারে ছেড়ে পালিয়েছিলি তো? সে কেমন কথা হোলো? তোদের বুদ্ধি-সুদ্দিই আলাদা। কি বলে কি করে আবোল-তাবোল, না আছে মাথা না আছে মুণ্ডু। থাকবি আমার বাড়ি। ভালোমন্দ খাবি। বেশি খাটতি হবে না, গোয়ালগোবর করবি সকালবেলা।
শাম বাগদি বলচে-থাক কর্তাবাবুর বাড়ি, সব দিক থেকেই তোর সুবিধে হবে।
রাজারাম জগদম্বাকে ডেকে বললেন-ওগো শোনো, এই মেয়েটি আমাদের এখানে থাকবে আজ থেকে। ও একটু ভালোমন্দ খেতে ভালোবাসে। মুড়কি আছে ঘরে?
জগদম্বা বিস্ময়ের দৃষ্টিতে ওদের দিকে চেয়েছিলেন। বললেন—ও তো বাগ্দিপাড়ার কুসী না? ও ছেলেবেলায় আমাদের বাড়িতে কত এসেচে ওর দিদিমার সঙ্গে- মনে পড়ে না, হাঁরে?
১৬৫