খানিকটা পরে খোকা বড় মজা করেচে। ছোট্ট মাথাটি দুলিয়ে, দুই হাত ছড়িয়ে ক্ষুদ্র মুঠি পাকিয়ে সে ভয় দেখানোর সুরে বললে-একতা জুজুবুড়ি আছে-মট্ট বড় কান-
—বলিস কি খোকন?
—ই-ই-ই! একতা জুজুবুড়ি আছে।
—ভয় পেয়েচে খোকা। বলিস নে, বলিস নে! বড় ভয় করচে-
—হি হি-
—বড্ড ভয় করচে-
—একতা জুজুবুড়ি আছে-
—না না, আর বলিস নে, বলিস নে-
খোকার সে কি অবোধ আনন্দের হাসি। ভবানীর ভারি মজা লাগলো
—ভয়ের ভান করে বালিসে মুখ লুকুলেন। বাবার ভয় দেখে খোকা বাবার গলা জড়িয়ে মমতার সুরে বললে-আমার বড়দা, আমার বড়দা-
—হ্যাঁ, আমায় আদর কর, আমার বডড ভয় করচে-
—আমার বড়দা-
—শোও খোকন, আমার কাছে শোও-
—জন্তি গাছটা বলো-
ভবানী ছড়া বলতে লাগলেন-
ও পারের জন্তি গাছটি জন্তি বড় ফলে
গো জন্তির মাথা খেয়ে প্রাণ কেমন করে
প্রাণ করে আইচাই গলা করে কাঠ
কতক্ষণে যাব রে এই হরগৌরীর মাঠ।
হঠাৎ খোকা হাত দুটো ছড়িয়ে চোখ বড় বড় করে বললে-একতা জুজু বুড়ি আছে-
—ও বাবা-
—মট্ট বড় কান-একতা জুজুবুড়ি আছে-
২৭৪