অন্বেষণে। তারা সুখ পায় না।
—সে তারা জানে। আমি কি বলবো? আমি এতেই সুখ পাই, আনন্দ পাই এইটুকু বলতি পারি। আনন্দ ভেতরেই, এটুকু বুঝিচি। নিজের মধ্যিই খুব।
খোকা পুনরায় একমনে বসে এই সব জটিল কথাবার্তা শুনছিল। ওর বড় বড় দুই চোখে বুদ্ধি ও কৌতুহলের চাহনি।
গয়ামেমের কি ভালোই লাগলো ওকে! কাছে এসে ডেকে চুপি চুপ বললেও—খোকা, তোমার নাম কি?
—টুলু।
—মোর সঙ্গে যাবা?
—কোথায়?
—মোর বাড়ি। পেঁপে খেতি দেবানি।
—বাবা বললি যাবে।
—আমি বললি যেতি দেবেন না কেন?
—হুঁ, নিয়ে যেও। অনেকদূর তোমার বাড়ি?
—আমি সঙ্গে করে নিয়ে যাবো। যাব ও বাবা? যাবা ঠিক?
খোকা ভেবে ভেবে বললে—পেঁপে আছে?
—নেই আবার! এই এত বড় পেঁপে—
গয়া দুই হাত প্রসারিত ক’রে ফলের আকৃতি যা দেখালে, তাতে লাউ কুমড়োর বেলায় বিশ্বাস হোতো, কিন্তু পেঁপের ক্ষেত্রে যেন একটু অতিরঞ্জিত বলে সন্দেহ নয়।
খোকা বললো—বাবা ও বাবা, মাসীমার বাড়ি যাব? পেঁপে দেবে—বাবার বিনা অনুমতিতে সে কোন কাজ করে না। জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে বাবার দিকে চেয়ে রইল।
গয়াসেম রাত্রে এসে রইল চরপাড়ার ওর দূর-সম্পর্কের এক ভগ্নীর বাড়ি। সকালে উঠে সে চলে যাবে মোল্লাহাটি। ঠিক মোল্লাহাটি নয়, ওর গ্রাম