grateful to you, sir, -
তারপর তিনি অত্যন্ত যত্বের সঙ্গে তিলুর সলজ্জ মুখের ও অপূর্ব কমনীয় ভঙ্গির একটা আলগা রেখাচিত্র আঁকতে চেষ্টা করলেন।
১৮৬৪ সালে প্রকাশিত কোলসওয়ার্দি গ্র্যাণ্টের ‘অ্যাংলো ইণ্ডিয়ান লাইফ ইন্ রুরাল বেঙ্গল’ নামক বইয়ের চুয়ান্ন ও সাতান্ন পৃষ্ঠায় ‘এ বেঙ্গলী উম্যান’ ও ‘অ্যান ইণ্ডিয়ান ইয়োগী ইন্ দি উডস্’ নামক দুখানা ছবি যথাক্রমে তিলু ও ভবানী বাড়ুয্যের রেখাচিত্র।
গ্রামে কেউ টের পায়নি। মুশকিল ছিল, রাত্রি জ্যোৎস্নাময়ী। এ মাঠ দিয়ে ও মাঠ দিয়ে ঘুরে তিলু স্বামীকে নিয়ে এল; ভবানী বিদেশী লোক, গ্রামের রাস্তাঘাট চিনতেন না। ভজা মুচি সইসকে ভবানী সব খুলে বলে বারণ করে দিয়েছিলেন। তিলু বল্লে-বাবা, কি কাণ্ড আপনার! শিশির পড়চে। ঠাণ্ডা লাগাবেন না। সায়েবটা বেশ দেখতে। আমি এত কাছ থেকে সায়ের্ কখনো দেখিনি। আপনি একটি ডাকাত।
—ও সব অশ্লীল কথা স্বামীকে বলতে আছে, ছিঃ-
রাজারাম রায়কে ছোট সাহেব ডেকে পাঠিয়েচেন। কেন ডেকে পাঠিয়েছেন রাজারাম তা জানেন। কোন প্রজার জমিতে জোর করে নীলের মার্ক মেরে আসতে হবে। রাজারাম দুর্ধর্ষ দেওয়ান, প্রজা কি করে জব্দ করা যায় তাকে শেখাতে হবে না। আজি আঠারো বছর এই কুঠিতে তিনি আছেন, বড় সাহেবের প্রিয়পাত্র হয়েচেন শুধু এই প্রজা জব্দ রাখবার দক্ষতার গুণে।
পাচু সেখের বাড়ি তেঘরা সেখহাটি। সেখানকার প্রজার আপত্তি জানিয়ে বলেচে- দেওয়ানজি, আপনাদের খাসের জমিতে নীল বুনুন, প্রজার জমিতে এবার আমরা নীল বুনতি দেবো না।
রাজারাম জোর করে নীলের দাগ মেরে এসেচেন পাচু সেখের ও তার শ্বশুর বিপিন গাজি ও নবু গাজির জমিতে। এরা সে গ্রামের মধ্যে অবস্থাপন্ন গৃহস্থ, বিপিন গাজির বাড়িতে আটটি ধান-বোঝাই গোলা, বিশ-পঁচিশটি হালের বলদ,