পড়েচে কিছু কিছু। তুমি একেবারে মুক্খু।
—তুই শেখাস আমায় খোকা।
—আমি শেখাবো? এই বয়সে উনি ক, খ, অ, আ—ভারি মজা।
—তোরে ছানার পায়েস খাওয়াবো ওবেলা।
—ঠিক?
—ঠিক।
—তাহলি তুমি খুব ভালো। মোটেই মুক্খু না।
ভবানী বললেন—আঃ, এই টুলু! ওসব এখন রাখো। আসল কথার জবাব দে।
—তুমি বলো বাবা।
—কি ইচ্ছে তোমার?
এই সময় নিলু আবার বললে—ওকে মোক্তারি-টোক্তারি করতি দিও না। ইংরিজি পড়াও ওকে! কলকায় পাঠাতি হবে। ওই শম্ভু দ্যাখো কেমন করেচে কলকেতায় চাকরি করে। তার চেয়ে কম বুদ্ধিমান কি টুলু?
ভবানী বাঁড়ুয্যে বললেন—কি বলো খোকা?
—ছোট মা ঠিক বলেচে। তাই হোক বাবা। মা কি বলো? ছোট মা ঠিক বলে নি?
নিলু অভিমানের সুরে বললে—কেন মুক্খু যে? আমি আবার কি জানি?
টুলু বললে—না ছোট মা। হাসি না। তোমার কথাডা আমার মনে লেগেচে। ইংরিজি পড়তি আমারও ইচ্ছে—তাই তুমি ঠিক করো বাবা! ইংরিজি শেখাবে কে?
নিলু বললে—তা আমি কি করে বলবো? সেডা তোমরা ঠিক কর।
তাই তো, কথাডা ঠিক বলেচে খোকা। ইংরিজি পড়বে কার কাছে খোকা। গ্রামে কেউ ইংরিজি জানে না, কেবল জানে ইংরিজি-নবীশ শঙ্কু রায়। সে বহুকাল থেকে আমুটি কোম্পানীর হৌসে কাজ করে, সায়েবসুবোদের সঙ্গে ইংরিজি বলে। গাঁয়ে এজন্যে তার খুব সম্মান—মাঝে মাঝে