পাতা:ইণ্ডিয়ান মিউজিয়ামের পরিচয়পত্র.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

( v ) মৃত ব্যক্তির ভষ্ম ভিতরে পূরিয়া রক্ষা করিবার জন্ত ব্যবহৃত হইত। কিন্তু এরূপ দেহাবশেষ না রাখিয়াও কেবল কোন স্থানে কোন সৎকার্য্য বা কোন সাধুসমাগম স্মরণ রাখিবার জন্ত খোদিত ও ব্যবহৃত হইত। স্তুপের মোটামুটি রকমের একটা আকার বেশ ভাল করিয়া দেখাইবার জন্ত এই গৃহের মধ্যস্থলে একটি ছোট স্ত,প রাখা হইয়াছে। ডাক্তার ব্লক এটি পুননির্ম্মাণ করিয়াছিলেন। ইহা নিতান্ত জ্ঞাতব্য বিষয়, যে এই পেশোয়ার প্রদেশ হইতেই বৌদ্ধধর্ম্ম ও সঙ্গে সঙ্গে গান্ধারের এই গ্রীসীয় বৌদ্ধ শিল্প মধ্য এসিয়ায় প্রবেশ করে ও তথা হইতে চীন দেশে চলিয়৷ যায়। এইরূপে পেশোয়ার উপত্যকার শিল্পই গ্রীসের শিল্পে ও অতি দূরবর্তী পূর্ব্বাঞ্চলের শিল্পে একটা ধারাবাহিক সম্বন্ধ রাখিয়া দিয়াছে। জাপান কিন্তু তাহার শিল্প-জগতে মূল ভারতীয় শিল্পের প্রভাব অনেক পরে পাইয়াছেন । প্রাচীন গান্ধার শিল্পের ভাব অপেক্ষা ভারতের গুপ্ত সাম্রাজ্য কালেরই নিদর্শন জাপান-শিল্পে অধিক পাওয়া যায় । গুপ্ত গৃহ । গান্ধার গৃহ হইতে দর্শকগণ বামদিকে ফিরিলে গুপ্ত গৃহ নামক লম্ব। ঘরটিতে প্রবেশ করিবেন । প্রবেশ করিলে তাহাদের ডানহাতি বা গৃহের দক্ষিণ অংশে যে সৰ পাথর আছে সে সব কালপর্য্যায়ে অর্থাৎ শতাব্দী শতাব্দী ধরিয়া সাজাইয়া রাখা হইয়াছে। দর্শক তাহার বামদিকে গৃহের মধ্যস্থলে যে লম্বা টেবিলটি দেখিতে পাইবেন তাহাতে প্রথমে ভহৎ স্তুপের কতকগুলি গোলাকার শিরযুক্ত ক্ষোদিত প্রস্তর ও তাহার পরে উছারই বেড়ার মাথালের কতকগুলি টুকরা পাথর । এই লম্বা টেবিলের নীচে মথুরার কতকগুলি থামের গোড়ার পাথর (স্তম্ভপাদ) রাখা হুইয়াছে। ডানদিকে একবারে পশ্চিম দিক ঘেঁসা বাঁথিতে (Alcove ) উৎকৃষ্ট মথুরা শিল্পসম্প্রদায়ের কতিপয় প্রস্তর রহিয়াছে। এই মাধুর